চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার চাঞ্চল্যকর ইসমাঈল ও যুবলীগ নেতা কামরুল ইসলাম চৌধুরী হত্যা মামলার পলাতক এক আসামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শনিবার চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও থানাধীন খাজা রোড এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার নাম দিদারুল ইসলাম ওরফে জসিম (৫৫)। জসিম রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ড সাইর মোহাম্মদ পাড়া গ্রামের প্রয়াত মেহেরুজ্জামানের ছেলে। তাকে রাঙ্গুনিয়া থানায় হস্তান্তর করা হলে আজ রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে ও র্যাব—৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) তাপস কর্মকারের সাথে কথা বলে জানা যায়, ১৯৯১ সালের ২ জুলাই রাঙ্গুনিয়ার তৎকালীন কালিপুর এবং বর্তমান ইসলামপুর ইউনিয়ন এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে খুন হয়েছিলেন মো. ইসমাঈল। এই ঘটনায় পরদিন সকালে রাঙ্গুনিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত ইসমাঈলের পিতা আবদুল মোতালেব।
তদন্ত শেষে ১২ জনকে আসামী করে ১৯৯২ সালের ৩ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ যেখানে ১৭ জন স্বাক্ষীর কথা উল্লেখ করা হয়।
১৯৯৬ সালে আদালত জসিমের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। এরপর পলাতক অবস্থায় ২০০২ সালের শেষের দিকে যুবলীগ নেতা কামরুল ইসলাম চৌধুরীকে পার্বত্যজেলা ঘাগড়া থেকে অপহরণ করে হত্যা করা হয়। সেই মামলায় কাউখালী থানায় দায়েরকৃত হত্যা মামলায় জসিম এক নম্বর আসামী।
২০০৩ সালে সর্বশেষ অস্ত্রসহ ফটিকছড়ির ঝংকার মোড় এলাকা থেকে দলবলসহ গ্রেফতার হয়েছিল সাকা ক্যাডার হিসেবে পরিচিত সন্ত্রাসী জসিম। সেই অস্ত্র মামলায় ১০ বছর সাজাপ্রাপ্ত হলে সাজা খেটে ৮ বছর পর জেল থেকে বের হয়েছিল।
পরবর্তীতে ইসমাঈল ও কামরুল ইসলাম চৌধুরী হত্যা মামলায় তার বিরুদ্ধে পরোয়ানা থাকলেও জসিম আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেফতার এড়াতে দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে।
সর্বশেষ চান্দগাঁও এলাকার অবস্থান করার গোপন সূত্রে পাওয়া সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছে র্যাব—৭।
রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, “তার বিরুদ্ধে রাঙ্গুনিয়া ও কাউখালী থানায় দু’টি পৃথক হত্যা মামলায় পরোয়ানা রয়েছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।”