পিতৃহত্যার প্রতিশোধ নিতে ৩২ বছর পর খুন, র‍্যাবের হাতে গ্রেফতার

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি | রবিবার , ৭ মে, ২০২৩ at ৯:৫৭ অপরাহ্ণ

আইয়ুব বাহিনীর প্রধান সন্ত্রাসী মো. আইয়ুবকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার অন্যতম প্রধান আসামী মোহাম্মদ হাছানকে (৫০) গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৭।

আজ রবিবার (৭ মে) সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশ।

এর আগে শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাকে গ্রেফতার করে র‍্যাব-৭। তিনি উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড মাজারগেট এলাকার আব্দুস সাত্তার তালুকদারের ছেলে।

জানা যায়, ১৯৮৭ সালে গ্রেফতার হাছানের পিতা আব্দুস সাত্তার তালুকদারকে দিনদুপুরে জবাই করে হত্যা করে আইয়ুব বাহিনীর প্রধান মো. আইয়ুব। পিতা হত্যার প্রতিশোধ নিতে ৩২ বছর ধরে চেষ্টা করে আসছিলেন নিহত আব্দুস সাত্তার তালুকদারের দুই ছেলে মহসিন এবং হাছান। ২০১৯ সালের ৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় ভাড়াটে খুনি দিয়ে গুলি করান পিতার হত্যাকারী আইয়ুব বাহিনীর প্রধান মো. আইয়ুবকে। গুলিবিদ্ধ আইয়ুব একই বছরের ২০ অক্টোবর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। নিহত আইয়ুব ইসলামপুর খলিফাপাড়া এলাকার মোহাম্মদ ইসহাকের ছেলে।

এরপর তার স্ত্রী জাহিদা বেগম বাদী হয়ে রাঙ্গুনিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশ সাড়ে তিন মাস তদন্ত শেষেও এ হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে না পারায় আদালত মামলাটির তদন্ত পুলিশ ব্যুরো অভ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) করার আদেশ দেয়।

এরপর ২০২০ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে টানা ৪৮ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে চট্টগ্রামের রাউজান, রাঙ্গুনিয়া ও রাঙামাটির রাজস্থলী এলাকা থেকে পাঁচজনকে গ্রেফতার করে পিবিআই চট্টগ্রাম জেলার টিম।

গ্রেফতার পাঁচজন হলো আব্দুল আজিজ প্রকাশ মানিক (২৪), মো. আজিম (২৪), আব্দুল জলিল (২৯), মো. রুবেল (২৮) ও মো. মহিন উদ্দিন (২৭)।

পিবিআই চট্টগ্রাম সূত্র জানায়, গ্রেফতার এই পাঁচজন ১৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. শহিদুল্লাহ কায়সারের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুব মিলকী জানান, হাছানকে র‍্যাব গ্রেফতার করে গতকাল রাতে থানায় হস্তান্তর করে। আজ রবিবার সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধলোহাগাড়ায় বনবিভাগের জায়গায় অবৈধভাবে নির্মাণাধীন স্থাপনা উচ্ছেদ
পরবর্তী নিবন্ধমাতারবাড়িতে কয়লা খালাস শেষে ফিরে গেল সেই জাহাজটি