রাঙ্গুনিয়া থেকে নিখোঁজের ৪ দিন পর শিকলবাহা খালে পাওয়া গেছে মোহাম্মদ আবুল কালাম সওদাগর (৬০) নামে এক বৃদ্ধের মরদেহ।
শিকলবাহা খাল থেকে মরদেহটি উদ্ধারের পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে সেটি নিখোঁজ আবুল কালামের বলে শনাক্ত করে তার পুত্র মো. মানিক।
নিহত আবুল কালাম উপজেলার সরফভাটা ইউনিয়নের সিকদারপাড়া এলাকার সুলতান আহমদের ছেলে।
আজ সোমবার (২১ মার্চ) মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে।
পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে নামাজের জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়। নিহত আবুল কালামের স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে সন্তান রয়েছে।
তার ছেলে মো. মানিকের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত ১৬ মার্চ বিকাল ৫টার দিকে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার কথা বলে তিনি ঘর থেকে বের হয়েছিলেন। এরপর রাত ৯টা পর্যন্ত তার সাথে মোবাইল ফোনে কথা হয়েছিল। এরপর থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি, মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়।
এই ব্যাপারে রাঙ্গুনিয়া থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছে। পরে চট্টগ্রামের সদরঘাট নৌ থানার শিকলবাহা খালে অজ্ঞাত মরদেহ পাওয়ার খবরে পরিবারের লোকজন গিয়ে দেখে এটি নিখোঁজ আবুল কালাম সওদাগরের মরদেহ।
তিনি কীভাবে শিকলবাহায় গেলেন সেই ব্যাপারে পরিবারের লোকজন কিছু জানাতে পারেনি।
এই ব্যাপারে সদরঘাট নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম মিজানুর রহমান জানান, গতকাল রবিবার (২০ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে শিকলবাহা খালের কালারপোল এলাকায় কর্ণফুলী নদীর জোয়ারে মরদেহটি ভেসে আসলে তা উদ্ধার করা হয়। মরদেহের সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছিল।
এই ব্যাপারে রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুব মিলকী বলেন, “পরিবারের কাছ থেকে ইতিপূর্বে একটি নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছিল। সেখানে তার মানসিক সমস্যা ছিল বলে উল্লেখ করা হয়। এই পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”