চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার সেলিমা কাদের চৌধুরী কলেজ গেইট এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত যুবকের লাশটির পরিচয় অবশেষে পাওয়া গেছে। তার নাম মো. জাহাঙ্গীর (৩৫)। তিনি পটিয়া উপজেলার পূর্ব মনসা ৭ নম্বর ওয়ার্ড মনসা এলাকার জহির আহমদের ছেলে।
আজ শুক্রবার (১৪ জুলাই) জুম্মার নামাজের পর জাহাঙ্গীরের পরিবার রাঙ্গুনিয়া থানায় এসে লাশের ছবি দেখে শনাক্ত করে।
গত ১১ জুলাই রাত পৌনে আটটার দিকে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের রাঙ্গুনিয়ার সেলিমা কাদের চৌধুরী কলেজ গেইট এলাকা থেকে অজ্ঞাত হিসেবে গলাকাটা লাশটি উদ্ধার করেছিল পুলিশ।
পরিচয় শনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি (তদন্ত) খাঁন নূরুল ইসলাম বলেন, “আজ শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর পটিয়া থেকে উনার পরিবার এসে লাশের ছবি দেখে শনাক্ত করে। এই ব্যাপারে একটি হত্যা মামলা রুজু হয়েছে। যদি তারা লাশটি নিতে চায় আদালতের মাধ্যমে নিতে পারবেন।”
জাহাঙ্গীরের মামা জালাল উদ্দীন বলেন, “জাহাঙ্গীর পেশায় একজন চটপটি দোকানদার। ৮ বছর আগে তিনি বিবাহ করেন। তার একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। গত মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে তার মোবাইল ফোনে একটি কল আসলে তাড়াতাড়ি করে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকে জাহাঙ্গীরের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার আর সন্ধান পাইনি। রাঙ্গুনিয়ায় লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে ছবি দেখে জাহাঙ্গীরকে আমরা শনাক্ত করি।”
তার এমন অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর বিষয়টির রহস্য উদঘাটনে আইনী পদক্ষেপ নেবেন বলে জানান তিনি।
জানা যায়, গত বুধবার রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পোমরা ইউনিয়নের সৈয়দা সেলিমা কাদের চৌধুরী কলেজের পাশে অজ্ঞাত যুবকের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা।
লাশটির গলার দিকে গভীর কাটার মতো ক্ষত চিহ্ন ছিল এবং রক্তের ছোপ পেট ও মুখেও ছড়িয়েছিল। এমনকি দুই হাতের বেশ কয়েকটি আঙ্গুলও বিচ্ছিন্ন ছিল বলে জানা যায়। তিনি বেঁচে আছেন ভেবে সেখান থেকে একজন সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক লাশটি চুয়েট গেইটে নিয়ে যান অ্যাম্বুলেন্সে করে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নেয়ার আশায়।
খবর পেয়ে রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশের একটি দল গিয়ে চুয়েট গেইট থেকে লাশটি উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে। ময়নাতদন্ত শেষে পুলিশ লাশটি অজ্ঞাত হিসেবে উদ্ধার করে আঞ্জুমানে বেওয়ারিশ ফাউন্ডেশনের কাছে হস্তান্তর করে। পরে দুইদিন লাশের কোনো খবর না পাওয়ায় তারা সেটি বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করেন।