এবার বন্ধ হলো রাজশাহী থেকে রংপুরের বাস

আজাদী অনলাইন | শুক্রবার , ২৮ অক্টোবর, ২০২২ at ৩:১১ অপরাহ্ণ

বিএনপি’র বিভাগীয় গণসমাবেশের আগে এবার রাজশাহী থেকে রংপুরগামী বাস চলাচল দুই দিন বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন পরিবহন নেতারা।

আজ শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) সকালে রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মতিউল হক সাংবাদিকদের জানান, রংপুরে অভ্যন্তরীণ কারণে দুই দিনের পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। সেখানে কোনো বাস চলবে না। অন্য কোনো জেলা থেকেও যাবে না।

তিনি আরও দাবি করেন, “রংপুর বাস মালিকদের পক্ষ থেকে রাজশাহী থেকেও বাস না পাঠানোর জন্য বলেছে। এ কারণে রাজশাহী-রংপুর বাস চলাচল দুই দিন বন্ধ রাখা হবে।”

মহাসড়কে অবৈধ যানচলাচল বন্ধসহ কয়েকটি দাবিতে শুক্রবার সকাল থেকে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার সব রুটে বাস চলাচল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে রংপুর জেলা বাস মালিক সমিতি।

তবে এই ধর্মঘট নগরীর কালেক্টর মাঠের শনিবারের গণসমাবেশকে উদ্দেশ্য করেই বলে অভিযোগ রয়েছে বিএনপি’র পক্ষ থেকে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজশাহী থেকে সবশেষ বাস রংপুরের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। শুক্র ও শনিবার আর কোনো বাস ছাড়বে না বলে জানিয়েছেন পরিবহন নেতারা।

জ্বালানি তেল, চাল-ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, নেতাকর্মীদের হত্যা, হামলা ও মামলার প্রতিবাদে এবং দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে সারাদেশের আট বিভাগীয় শহরে গণসমাবেশের ডাক দেয় বিএনপি। এর মধ্যে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও খুলনায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এরই ধারাবাহিকতায় আগামীকাল শনিবার রংপুরে এবং আগামী ৫ নভেম্বর বরিশালে সমাবেশ ডেকেছে বিএনপি।

রংপুরের মতো গণসমাবেশের একদিন আগ থেকে বরিশাল নগরীর কেন্দ্রীয় নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লা ও অভ্যন্তরীণ পথের সব বাস চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত ২২ অক্টোবর খুলনার বিভাগীয় গণসমাবেশের আগেও সেখানকার পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা একই দাবিতে বাস ধর্মঘটের ডাক দেন। এতে দু’দিন ধরে বাস বন্ধ থাকায় গণসমাবেশমুখী নেতাকর্মীদের পাশাপাশি চাকরিজীবী, চাকরিপ্রার্থী ও সাধারণ মানুষকে ভোগান্তির শিকার হতে হয়।

পরিবহন মালিক সমিতির ডাকে বাস ধর্মঘটের ঘটনা ঘটেছিল ১৫ অক্টোবরের ময়মনসিংহের বিভাগীয় গণসমাবেশের আগেও।

বিএনপি একে ক্ষমতাসীন দলের ‘ষড়যন্ত্র’ বলে অভিযোগ করলেও আওয়ামী লীগের দাবি, তারা রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী।

অপরদিকে, পরিবহন মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়ন দাবি করে, তাদের ডাকা ধর্মঘটের সঙ্গে বিএনপি’র গণসমাবেশের কোনো সম্পর্ক নেই।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদোকান কর্মচারী ধর্ষণের পর হত্যা করে শিশু বর্ষাকে
পরবর্তী নিবন্ধঅল্পের জন্য রক্ষা