নির্বাচনে আসুন, না হলে যা ইচ্ছা করুন

বিএনপিকে ওবায়দুল কাদের

আজাদী অনলাইন | শনিবার , ১২ আগস্ট, ২০২৩ at ৭:৩৯ অপরাহ্ণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করবেন না মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, “আজকে মির্জা আব্বাস বলেন সংবিধান আমরা মানি না। কেন মানেন না, এটির মধ্যে কি কাঁটা আছে? এটা নাকি কাটাছেঁড়া করেছি, কাটাছেঁড়া আমরা করিনি, কাটাছেঁড়া করেছে সেনাপতিরা। প্রথম করেছে জিয়াউর রহমান। হবে না, তত্ত্বাবধায়ক হবে না, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করবেন না, সংসদ ভাঙবে না, স্বাধীন এ নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করবে, পছন্দ হলে নির্বাচনে আসুন না হলে যা ইচ্ছা করুন।”

আজ শনিবার (১২ আগস্ট) স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন৷

বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়৷

আলোচনা সভায় বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করবেন না, সংসদ বিলুপ্ত হবে না। ইচ্ছা হলে নির্বাচনে আসবেন, তাহলে না হলে যা খুশি তাই করবেন। তবে আগুন নিয়ে আসবেন না, আগুন নিয়ে আসলে প্রতিরোধ করা হবে, সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।
নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ীই হবে৷”

ওবায়দুল কাদের বলেন, “আপনারা যেটি চান, সেটি হবে না। এ অবস্থায় বিএনপি ইচ্ছা হলে নির্বাচনে আসবে, না হলে যা খুশি তাই করবে৷”

বিএনপিকে আজীবন বিরোধী দলে থাকতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “আর বিএনপির মির্জা ফখরুলের লাফালাফি। লাফালাফি, এ বুঝি গেল শেখ হাসিনার গদি, গদি গেল, ফখরুল ইসলাম, নেতিবাচক বিদ্বেষমূলক রাজনীতির কারণে আজীবন আপনাদের বিরোধী দল থাকতে হবে। আজীবন বিরোধী দলের খাতায় নামটা লিখে রাখুন। জিয়াউর রহমান ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড, জিয়াউর রহমান ৩ নভেম্বরের জেলহত্যার মাস্টারমাইন্ড, জিয়াউর রহমান পুত্র ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাস্টারমাইন্ড।”

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশে হত্যার রাজনীতি শুরু করেছে জিয়াউর রহমান। বাংলাদেশে এরাই জঙ্গিবাদ সাম্প্রাদায়িক শক্তিকে আশ্রয়প্রশ্রয় দিয়ে পাকিস্তান বানানোর চেষ্টা করছে। বাংলাদেশকে নতুন করে আফগানিস্তান বানানোর চেষ্টা করছে। ওরা শেখ হাসিনাকে সহ্য করতে পারে না।”

স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরী সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফি, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন খান নিখিল ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজলুর রহমান বাবু।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবান্দরবানে দুর্গতদের মাঝে সুপেয় পানি সরবরাহের চেষ্টা
পরবর্তী নিবন্ধবিদ্যুৎ উৎপাদনে কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সব ইউনিট