বৌদ্ধদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপিত হয়েছে আতশবাজি আর হাজারো ফানুস ওড়ানোর মধ্য দিয়ে। এতে রঙিন হয়ে ওঠে রাতের আকাশ।
দেশের বিভিন্ন স্থানের মতো চট্টগ্রামেও বিভিন্ন জেলা-উপজেলার বৌদ্ধ মন্দির ও গ্রামে অত্যন্ত আনন্দঘন পরিবেশে উদযাপিত হয়েছে এ উৎসব।
আজ শনিবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নগরীর ডিসি হিলের নন্দনকানন মোড়ের অস্থায়ী মঞ্চে ফানুস উৎসবের উদ্বোধন করেন সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) বিকেল চারটা থেকে নন্দনকানন চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহার ও বৌদ্ধ মন্দির মোড়, ডিসি হিল মোড় অভিমুখী সব যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি)। এ সময় নগরীর চেরাগী পাহাড় মোড়, লাভ লেন মোড় (নূর আহম্মদ সড়কের মাথা), এনায়েতবাজার মোড়, বোস ব্রাদার্সের মোড়ে (পুলিশ প্লাজার সামনে) রোড ব্লক স্থাপনের মাধ্যমে ডাইভারশন দেওয়া হয়।
আষাঢ়ী পূর্ণিমা থেকে আশ্বিনী পূর্ণিমা পর্যন্ত তিন মাস ভিক্ষুসংঘের বর্ষাবাস পরিসমাপ্তির এই পবিত্র দিনকে কেন্দ্র করেই পালন করা হয় প্রবারণা পূর্ণিমা। তাই এটি আশ্বিনী পূর্ণিমা নামেও পরিচিত।
প্রবারণা পূর্ণিমায় সাধারণ গৃহীরা সকাল থেকে বৌদ্ধবিহারে পূজা উত্তোলন, সূত্র পাঠ এবং পঞ্চশীল ও অষ্টশীলব্রত পালন করে সারা বিশ্বের শান্তি ও মঙ্গল কামনা করে সমবেত প্রার্থনা করেন। বিকেলেও বিহারে বিহারে সমবেত প্রার্থনা করা হয়। বুদ্ধের উদ্দেশে ফুল পূজা, বুদ্ধপূজা, বুদ্ধমূর্তি দান, অষ্টপরিষ্কার দান, সংঘ দান ও বৌদ্ধ ভিক্ষুদের পিণ্ডদান অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় বিহারে আগত উপাসক-উপাসিকারা বৌদ্ধ ভিক্ষুদের কাছ থেকে ধর্মদেশনা শোনেন।