চট্টগ্রামে এক পুলিশ কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনার পর তিন আনসার ও ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
গত সোমবার নগরীর ফয়’স লেক এলাকায় ৩১ আনসার ব্যাটালিয়ন কার্যালয়ের সামনে ওই ঘটনা ঘটে তবে বিষয়টি জানাজানি হয় আজ শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর)।
দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নেওয়া আনসার সদস্যরা হলেন সোহেল রানা, সাইদুর রহমান ও রিটন। আর পুলিশ কর্মকর্তাটি হলেন চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ওসি নাজিম উদ্দিন।
৩১ আনসার ব্যাটালিয়নের পরিচালক নাজমুল হক নূরনবী বলেন, “একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।… সেটা তদন্তের বিষয়। বিষয়টি আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর তিন আনসার সদস্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দিয়ে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর আনসার সদস্যদের কোনো দোষ পাওয়া গেলে স্থায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
‘বিভাগীয় শৃঙ্খলাজনিত কারণে’ রেলওয়ে থানার ওসিকে দায়িত্বে থেকে সরিয়ে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করার কথা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম রেলওয়ে পুলিশের সুপার (এসপি) হাসান চৌধুরী।
ফয়’স লেক এলাকায় কী ঘটেছিল জানতে চাইলে ‘এটা দুই বাহিনীর অভ্যন্তরীণ বিষয়’ মন্তব্য করে বিস্তারিত বলতে রাজি হননি তিনি।
পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ওসি নাজিম উদ্দিন ও বান্দরবান সদর থানার ওসি শহীদুল ইসলাম গত সোমবার পরিবার নিয়ে ফয়’স লেকে বেড়াতে যান। তাদের বহনকারী গাড়িটি ওই এলাকায় আনসার ব্যাটালিয়ন কার্যালয়ের কাছে রাখলে দায়িত্বরত আনসার সদস্যদের সাথে বিতণ্ডা হয়।
নাম প্রকাশ করতে রাজি না হওয়া পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, এ সময় আনসার সদস্যরা রেলওয়ে থানার ওসি নাজিম উদ্দিনকে ব্যাটালিয়ন কার্যালয়ের ভেতরে নিয়ে মারধর করে।
খবর পেয়ে আকবর শাহ থানা পুলিশের একটি দল দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে উদ্ধার করে আনসার সদস্যদের থানায় নিয়ে যায়। পরে থানায় পুলিশ ও আনসার কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক হয়। এ ঘটনায় কোনো মামলা না করে অভ্যন্তরীণ একটি জিডি করা হয়।
তবে আকবর শাহ থানার ওসি ওয়ালী উদ্দিন আকবর বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি। বান্দরবান সদর থানার ওসি শহীদুল ইসলামও ফোন ধরেননি।