পেকুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে পেকুয়া থানায় একটি চাঁদাবাজি মামলা করা হয়েছে।
জানা যায়, আজ মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) পেকুয়া থানায় উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম ও তার ৩ সহোদর সহ ১২ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও জমি দখলের অভিযোগে মামলাটি রুজু করা হয়।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাইম্যাখালী এলাকার জাকের আহমদের পুত্র আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
আজ রাতে এই মামলার ১১নং আসামি রেজাউল করিমকে চকরিয়া কোর্ট এলাকা থেকে পেকুয়া থানা পুলিশ আটক করেছে বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ অক্টোবর উপজেলা চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ৫০-৬০ জন লোক পেকুয়া বাজারস্থ বাদীর দীর্ঘদিনের দখলীয় একটি দোকানে গিয়ে তার কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। পরে তারা উক্ত দোকানে হামলা চালিয়ে নগদ ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে যায় এবং প্রায় ৪০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে।
মামলায় অপরাপর আসামিরা হলো উপজেলা চেয়ারম্যানের সহোদর আজমগীর, কাইয়ূম, ওসমান সরওয়ার বাপ্পি, ওসমান আলী, ইদ্রিস বাবুল, আবুল বশর, মিজানুর রহমান কালু, আবদুল মালেক, রেজাউল করিম, আবু ছালেক, আনছার উদ্দিন ও ফরিদুল ইসলাম।
এদিকে, মামলা রুজু হওয়ার পর আজ সন্ধ্যায় শেখের কিল্লা ঘোনাস্থ নিজ বাড়িতে এক সাংবাদিক সম্মেলন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম।
এসময় তিনি বলেন, “আমার অংশীদারিত্বে একটি ডেভলপার কোম্পানির নামে পেকুয়া বাজারে একটি মার্কেট নির্মাণ করা হচ্ছে। মার্কেট নির্মাণাধীন সময়ে সম্পূর্ণ নিঃস্বত্ববান এক ব্যক্তি এসে জমি দাবি করলে আমরা তার কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করি কিন্তু দাবিদার ওই ব্যক্তির পিতা ওই স্বত্ব ১৯৮০ সালে অপর ব্যক্তিকে বিক্রি করে নিঃস্বত্ববান হয়ে যান। পরবর্তীতে ওই ব্যক্তি একটি কুচক্রি মহলের ইন্ধনে আমাকে রাজনৈতিকভাবে ঘায়েল করার জন্যই উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমি ও আমার ৩ সহোদর সহ ডেভলপার কোম্পানির মালিক ও ল্যান্ড ওনারদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলাটি দায়ের করে। এক সপ্তাহ আগের ঘটনা দেখিয়ে এক সপ্তাহ পর থানায় মামলা রুজু করাটাই প্রমাণ করে আমার সুনাম ক্ষুণ্ন করতে ও আমাকে রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করতেই মামলাটি করা হয়েছে।”
এ বিষয়ে পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) তাজ উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম সহ ১২ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। পরবর্তীতে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।”