পেকুয়ায় চায়ের দোকানে ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেট ম্যাচ নিয়ে বাজি ধরে হেরে যাওয়ায় দুই যুবকের মধ্যে বাক-বিতণ্ডার এক পর্যায়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষের সময় বখাটের ছুরিকাঘাতে এক দিনমজুর নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আরো ৩ ব্যক্তি আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের বাজারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
খবর নিয়ে জানা যায়, বাজার পাড়া এলাকায় স্থানীয় এমইউপি নূর মোহাম্মদ মাদুর ভাই মৌলভী আবদুল মাবুদের চায়ের দোকানে স্থানীয় কিছু যুবক টেলিভিশনে টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপের ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচ দেখছিলেন। এক পর্যায়ে স্থানীয় নুরুল আমিনের পুত্র নাইবু (২০) আবদুল মালেকের পুত্র পারভেজের (২২) সাথে বাজি ধরে। পরে বাজির টাকা নিয়ে দু’জনের মধ্যে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে ঘটনাটি দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে রূপ নেয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, ঘটনার সময় বখাটে নাইবু পারভেজের পিতা আবদুল মালেককে (৪৮) ছুরিকাঘাত করলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
এসময় পারভেজ, তার ভাই হোছাইন এবং বুলবুল আক্তারও আহত হন।
পরে স্থানীয় লোকজন আহত আবদুল মালেককে উদ্ধার করে পেকুয়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালের চিকিৎসকরা বলেন, নিহত আবদুল মালেকের বুকে ছুরিকাঘাত রয়েছে।
নিহত আবদুল মালেক মগনামা ইউনিয়নের বাইন্যাঘোনা এলাকার ছৈয়দ আহমদের পুত্র। তিনি একজন দিনমজুর বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
নিহতের ভাগ্নি জামাই বখতিয়ার উদ্দিন বলেন, “বাজার পাড়া এলাকার মৌলভী আবদুল মাবুদের চায়ের দোকানে ক্রিকেট খেলার বাজি ধরাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে আমার মামা শ্বশুর আবদুল মালেককে ছুরিকাঘাত করলে তিনি হাসপাতালে মারা যান।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মগনামা ইউপি চেয়ারম্যান ইউনুছ চৌধুরী বলেন, “চায়ের দোকানে ক্রিকেট খেলা নিয়ে বিতণ্ডার এক পর্যায়ে দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। এসময় আবদুল মালেক নামের এক দিনমজুর নিহত হয়।”
ঘটনার খবর পেয়ে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরহাদ আলীর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে রাজাখালী থেকে হামলাকারী নুরুল আমিন ও তার মেয়েকে আটক করেছে বলে জানা গেছে।
তবে এ বিষয়ে জানতে রাত ১টার দিকে ওসি’র মোবাইল ফোন নম্বরে কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।