পটিয়ায় জেরিন আক্তার (২২) নামে এক প্রবাসীর স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন এটিকে আত্মহত্যা বললেও তার পরিবারের দাবি এটি হত্যাকাণ্ড।
রবিবার (৩০ এপ্রিল) রাতে কচুয়াই ইউনিয়ের ১ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত গৃহবধূ জেরিন আকতার উপজেলার সালেহ নুর ডিগ্রী কলেজের ডিগ্রী ফাইনাল বর্ষের ছাত্রী। তিনি দেড় বছরের এক ছেলে সন্তানের জননী।
তার মা জেসমিন আক্তার বলেন, “এটি আত্মহত্যা নয়, আমার মেয়ে জেরিন আকতারকে তার স্বামীসহ পরিবারের লোকজন মেরে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দিয়েছে।”
তিনি আরো বলেন, “আমার মেয়েকে আগে থেকেই মানসিকভাবে নানা নির্যাতন করতেন তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। আমি আমার মেয়েকে বিভিন্নভাবে সান্ত্বনা দিতাম। তার হাসানুজ্জামান অভি নামে দেড় বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।”
গৃহবধূর মামা মোহাম্মদ এমদাদ বলেন, “২০২০ সালে করোনার সময় পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়েছিল। তখন স্বামীর পরিবার থেকে কোনো দাবি ছিল না। বিয়ের পর তারা যৌতুকের জন্য চাপ দেয়। স্বামী গত ঈদের এক সপ্তাহ আগে দেশে এলে যৌতুকের জন্য নানাভাবে চাপ দিতে থাকে। এ নিয়ে স্বামী তাকে হত্যা করেছে। পরে গোপনে দাফনের চেষ্টা করে। আমরা খবর পেয়ে সেখানে গেলে বলা হয় ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। পরে তারা পালিয়ে যায়।”
এ ঘটনায় গৃহবধূর বাবা আমির আলম হত্যা মামলা করবেন বলে জানান তিনি।
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকার বলেন, “রাত সাড়ে ৯টায় খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে। স্বামীর ঘরের মেঝেতে শোয়ানো অবস্থায় সুরতহাল প্রতিবেন তৈরি শেষে মরদেহ থানায় নিয়ে আসা হয়। এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।”