পাকিস্তানে ৩ জঙ্গিসহ নিহত ৫

করাচি পুলিশ প্রধানের কার্যালয়ে হামলা

আজাদী অনলাইন | শুক্রবার , ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ at ১১:২১ অপরাহ্ণ

পাকিস্তানের করাচি পুলিশ প্রধানের কার্যালয়ে একদল বন্দুকধারীর হামলার পর পাঁচজন নিহত হয়েছে যাদের মধ্যে তিনজন হামলাকারী ও একজন পুলিশ।

শুক্রবার সন্ধ্যার এ ঘটনার পর পুলিশ কম্পাউডে অভিযানে তিন জঙ্গি হামলাকারী নিহতের খবর দিয়েছে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

নগরীর প্রধান শরিয়া ফয়সাল এলাকায় পাঁচতলা ওই ভবনটিতে স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্য‍া সোয়া ৭টার দিকে হামলা শুরু হয় বলে জানায় পাকিস্তানের ইংরেজি ভাষার দৈনিক ডন।

হামলার পরপরই ওই এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। পুলিশের স্নাইপার দল কার্যালয় ভবন ঘিরে অবস্থান নিয়েছে।

নিরাপত্তা বাহিনী এরইমধ্যে ওই ভবনের প্রথম তিনতলার নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। বাকি দুই তলা এবং ছাদে অবস্থান করা জঙ্গিদের দমনের চেষ্টা চলছে বলে জানান সিন্দু প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ আলি শাহ।

তিনি জিও নিউজকে সেখানে দুই জঙ্গি নিহত হওয়ার খবর পেয়েছেন বলে জানান।

করাচি পুলিশ প্রধান বর্তমানে নগরীতে নেই জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ আরো বলেন, “প্রাদেশিক সরকার সেনাবাহিনীর কাছে সাহায্য কামনা করেছে। আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের সহযোগিতায় কাজ করছি। আমাদের প্রধান লক্ষ্য পরিস্থিতি নিয়েন্ত্রণে নেওয়া।”

পাকিস্তানে নিষিদ্ধ ঘোষিত তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) এ হামলার দায় স্বীকার করেছে।

সিন্ধু রেঞ্জার্স-এর একজন মুখপাত্র জানান, প্রথমিকভাবে সেখানে আট থেকে ১০ জন ‘সশস্ত্র জঙ্গি’ রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পুলিশ প্রধানের কার্যালয়ের পাশেই সাদ্দার পুলিশ স্টেশন। সেখান থেকেও এক বিবৃতিতে হামলার কথা জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, “অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা করাচি পুলিশ অফিসের কাছের সাদ্দার পুলিশ স্টেশনে ‍হামলা চালিয়েছে। সব জায়গায় গুলি চলছে।”

অতিরিক্ত পুলিশ ও রেঞ্জার্স হামলাস্থলের দিকে রওয়ানা হয়েছে।

নগরীর সাউথ ডিআইজি ইরফান বালোচ ডন নিউজ টিভিকে বলেন, “পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুরো নগরীর পুলিশকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। আগ্নেয়াস্ত্র ছাড়াও হামলাকারীদের কাছে গ্রেনেড রয়েছে। হামলাকারীরা পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েই এসেছে। সেখানে কঠিন লড়াই হচ্ছে।”

দু’টি মরদেহ কাছের জিন্নাহ পোস্টগ্র্যাজুয়েট মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানান পুলিশের সার্জন ডা. সুমাইয়া সৈয়দ। তাদের মধ্যে একটি মরদেহ পুলিশ কন্সটেবল গুলাম আব্বাসের বলে জানান তিনি।

অন্য মরদেহটি আজমল মাসিহ নামে ৪০ বছরের এক ব্যক্তির বলে জানান পাকিস্তান ভিত্তিক দাতব্য সংস্থা ইডিএইচআই ফাউন্ডেশনের একজন মুখপাত্র।

ডা. সুমাইয়ার বরাত দিতে দৈনিক ডন আহত আরো তিনজনের পরিচয় জানিয়েছে। তারা হলেন ৪৫ বছরের পুলিশ সদস্য লতিফ, ৪০ বছরের রেঞ্জার্স কর্মকর্তা আব্দুল রহিম ও ২৫ বছরের ইডিএইচআই কর্মী সাজিদ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরামুতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে নিহত ১
পরবর্তী নিবন্ধহাটহাজারীতে আগুনে ১৩ পরিবার নিঃস্ব, শিশুর মৃত্যু