ওমানস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে গতকাল ১৫ আগস্ট পালিত হলো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস।
এদিন সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করার মধ্য দিয়ে শোক দিবসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের সঙ্গে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন ওমানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাজমুল ইসলাম।
রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে বলেন, “তিনি ছিলেন বাঙালি জাতির মুক্তির স্বপ্নদ্রষ্টা ও স্বাধীনতার রূপকার। এ অবিসংবাদিত মহাপুরুষের দূরদর্শী, অকুতোভয় ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে সমগ্র বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। তাঁর নেতৃত্বে আমরা পেয়েছি স্বাধীন দেশ এবং স্বাধীন জাতির মর্যাদা। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশী হিসাবে আমাদের গর্বিত অস্তিত্ব ও বিশ্ব পরিমণ্ডলে আমাদের গৌরবজনক পরিচিতি এ মহান নেতারই অবদান।”
এ সময় বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সকল শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন ও বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। দোয়ায় দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী ও প্রবাসী বাংলাদেশীরা উপস্থিত ছিলেন।
দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রদূত নাজমুল ইসলাম।
পরে আগত অতিথি ওমান প্রবাসী বাংলাদেশী এবং ওমান আওয়ামী লীগ, ওমানস্থ সোশ্যাল ক্লাব, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, যুবলীগ, চট্টগ্রাম সমিতি ও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতারা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান।
এছাড়া অনুষ্ঠানে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দেওয়া বাণী পাঠ করা হয়।
আলোচনা পর্বে প্রবাসী নেতারা ও বিভিন্ন পেশাজীবী জাতীয় শোক দিবসের তাৎপর্য বিশ্লেষণ করেন এবং এই শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে আরও উদ্যম ও দেশপ্রেম নিয়ে দেশের উন্নয়নে অধিকতর অবদান রাখার অঙ্গীকার করেন।
এছাড়া অনুষ্ঠানে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও জাতির পিতার সংগ্রামের জীবনকর্ম নিয়ে একটি ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।