আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, “বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে দুই সেলফিতে রাজনীতির সব ফয়সালা হয়ে গেছে। দুই সেলফিতে বিএনপির রাতের ঘুম শেষ।”
আজ শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানী ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, “ভিসানীতি ও নিষেধাজ্ঞার পরোয়া করে না আওয়ামী লীগ। ভিসানীতি, নিষেধাজ্ঞা হলে ক্ষতিটা তাদেরই যারা নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত ও প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। ভিসানীতি বাস্তবায়নের বাস্তবতাটা কি সেটা দেখার বিষয়। আওয়ামী লীগ চায় অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বার বার এ নিয়ে জনগণের কাছে অঙ্গীকার করেছেন।”
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, “ভোট দেবে দেশের জনগণ। নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করবে। বিদেশীদের পর্যবেক্ষক পাঠানোর বিষয়টি তাদের ব্যাপার। এখানে পর্যবেক্ষক পাঠানোর নিয়ম আছে। ভিয়েনা কনভেনশন আছে।”
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বিএনপি নির্বাচন হতে দেবে না বলছে-সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, “বিএনপি’র ইচ্ছাতেই কি নির্বাচন হবে? বিএনপি নির্বাচন চায় না। তারা যদি নির্বাচন বয়কট করতে চায় করবে কিন্তু আওয়ামী লীগ চায় প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন। বিএনপি’র নির্বাচনে আসাটা তাদের অধিকার। তবে নির্বাচনে না এসে নির্বাচনবিরোধী যেকোনো ষড়যন্ত্র করলে জনগণ তা প্রতিরোধ করবে।”
তিনি বলেন, “বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনো যৌক্তিকতা নেই। উচ্চ আদালত এটা বাতিল করে দিয়েছে।”
বিএনপি’র উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন করে বলেন, “তারা কেন সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে? সারা বিশ্বে গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় বাংলাদেশেও সেভাবে হবে।”
অক্টোবরে বিএনপি মরণ কামড় দেবে বলা হচ্ছে- এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “মরণ কামড় দিতে গিয়ে বিএনপিই মরে ভূত হয়ে যাবে।”