নগরীর পাচঁলাইশ থানার ষোলশহর দুই নম্বর গেইট এলাকায় ট্রাফিক পুলিশ বক্সে বিস্ফোরণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় নব্য জেএমবির ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে আদালত।
আজ সোমবার (২৮ আগস্ট) চট্টগ্রামের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুল হালিম শুনানি শেষে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
আসামিরা হলো মো. সাইফুল্লাহ, মো. এমরান, আবু সালেহ, মো. আলাউদ্দিন, মহিদুল আলম, মো. জহির উদ্দিন, মো. মঈনউদ্দিন, রহমত উল্লাহ, সাহেদ হোসেন, মো. সেলিম, আবদুল্লাহ আল নোমান, আবদুল কাইয়ুম, কায়সার উদ্দিন, মো. মোরশেদুল আলম ও মো. শাহজাহান। আসামীদের মধ্যে মোরশেদুল ও শাহজাহান পলাতক।
ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট রুবেল পাল বলেন, “ষোলশহর দুই নম্বর গেইট এলাকায় ট্রাফিক পুলিশ বক্সে বিস্ফোরণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় পুলিশ ১৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। একজন প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়ায় তার বিচার শিশু আদালতে হবে। বাকি ১৫ আসামীর বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয়া হয়েছে। অভিযোগ গঠনের সময় আদালতে ১৩ জন উপস্থিত ছিলেন। তাদের মধ্যে ২ জন হাইকোর্ট থেকে জামিনে রয়েছে। শুনানি শেষে ১১ আসামীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।”
মামলার নথি থেকে জানা যায়, নগরীর পাঁচলাইশ থানার ষোলশহর ২ নম্বর গেইট এলাকায় ট্রাফিক পুলিশ বক্সে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে ২০২০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি। এতে দুই পুলিশ সদস্যসহ পাঁচজন আহত হন।
এ ঘটনায় পাঁচলাইশ থানার টহল পরিদর্শক (টিআই) অনিল বিকাশ চাকমা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলা তদন্তের দায়িত্ব পান সিএমপি’র কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সঞ্জয় গুহ।
ঘটনার পর তদন্তকারী সংস্থা নগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট হামলার পরিকল্পনা থেকে বাস্তবায়নের বিভিন্ন ধাপে সম্পৃক্ত ১৩ জনকে গ্রেফতার করে।
বোমা হামলার তিন মাস পরই ২০২০ সালের মে মাসে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ছাত্র এমরান, পলিটেকনিকের ছাত্র আবু ছালেহ এবং দোকানকর্মী সাইফুল্লাহ-এ তিনজনকে গ্রেফতারের পর কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট হামলার সঙ্গে নব্য জেএমবি’র সম্পৃক্ততার তথ্য পায়।
তদন্ত শেষে ২০২২ সালের ২৬ অক্টোবর নগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ১৬ জনকে আসামী করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। এতে বলা হয় আসামীরা নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবি’র মতাদর্শে পরিচালিত নব্য জেএমবি’র সদস্য। তারা সরকারি স্থাপনায় হামলা ও সরকারি কর্মচারীদের হত্যা করে নিজেদের কার্যক্রমে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করে।
আসামী নোমান সংগঠনটির আমিরের দায়িত্বে ছিলেন, সেলিম সামরিক কমান্ডার ছিলেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।