চট্টগ্রামের চকবাজারে আইনজীবী ওমর ফারুক বাপ্পীকে হত্যার ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তার স্ত্রী রাশেদা বেগমকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
নগরীর বাকলিয়া থানার সৈয়দশাহ লেইন থেকে রবিবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানায় র্যাব-৭।
গত ২৬ জুলাই চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জসিম উদ্দিন আইনজীবী বাপ্পী হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। ওই রায়ে রাশেদা এবং আরেক আসামী হুমায়ুন রশিদকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। হুমায়ুন কারাগারে থাকলেও রাশেদা পলাতক ছিলেন।
বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-৭ বলেছে, রায় ঘোষণার পর থেকে রাশেদা আত্মগোপনে ছিলেন। গোপন খবরের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এ মামলার আসামীদের মধ্যে আল আমিন, আকবর হোসেন রুবেল ও মো. পারভেজ আলীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। তাদের মধ্যে আল আমিন ও আকবর পলাতক।
অপরাধে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত না হওয়ায় এ মামলার অপর আসামী জাকির হোসেনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে রায়ে।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৫ নভেম্বর সকালে চকবাজার থানাধীন কেবি আমান আলী রোডের বড় মিয়া মসজিদের ইউ ভবনের নিচতলার ভাড়া বাসা থেকে আইনজীবী ওমর ফারুক বাপ্পীর (৪০) লাশ উদ্ধার করে পুালিশ। বাপ্পীর বাড়ি কক্সবাজার জেলার চকরিয়ায়।
লাশ উদ্ধারের সময় বাপ্পীর হাত-পা বাঁধা এবং মুখ টেপ দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় ছিল বলে সেই সময় জানিয়েছিল পুলিশ।
ঘটনার পরদিন বাপ্পীর বাবা আলী আহমদ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় একটি মামলা করেন যাতে রাশেদা বেগমকে সন্দেহভাজন আসামী হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
২০১৮ সালের ৪ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই- চট্টগ্রাম মেট্রোর সাবেক পরিদর্শক ও বর্তমান খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা। তা আমলে নিয়ে ২০২০ সালের ১৫ অক্টোবর ছয় আসামীর বিরুদ্ধে আদালত অভিযোগ গঠন করে।
মামলার বিচারে ২৯ জন স্বাক্ষীর জবানবন্দি শুনে পাঁচজনকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দেয় আদালত।