আফ্রিকার প্রথম দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে উঠে গেছে মরক্কো।
কাতারের দোহার আল থুমামা স্টেডিয়ামে আজ শনিবার (১০ ডিসেম্বর) তৃতীয় কোয়ার্টার-ফাইনালে পর্তুগালকে ১-০ গোলে হারিয়েছে দেশটি।
প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠে আগেই ইতিহাস গড়েছিল মরক্কো। এবার তারা সেমি-ফাইনালেও পৌঁছে গেল।
টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোকে বেঞ্চে রেখে খেলতে নামা পর্তুগাল পঞ্চম মিনিটে প্রথম সুযোগ পায়। ব্রুনো ফের্নান্দেজের ফ্রি-কিকে জোয়াও ফেলিক্সের জোরালো হেড ঝাঁপিয়ে ব্যর্থ করে দেন গোলরক্ষক ইয়াসিন বোনো।
দুই মিনিট পর সুযোগ আসে প্রথমবার শেষ আটে ওঠা মরক্কোর সামনে। হাকিম জিয়াশের কর্নারে ইউসেফ এন-নেসিরির হেড ক্রসবারের উপর দিয়ে যায় যদিও অফসাইডের বাঁশি বাজান রেফারি।
২৬তম মিনিটে আরেকটি সুযোগ পান এন-নেসিরি। এবার জিয়াশের ফ্রি-কিকে তার হেড লক্ষ্যে থাকেনি। চার মিনিট পর বক্সের বাইরে থেকে ফেলিক্সের জোরাল শটে বল মরক্কোর জাওয়াদ ইয়ামিকের গায়ে লেগে ক্রসবারের সামান্য ওপর দিয়ে যায়।
৪২তম মিনিটে এগিয়ে যায় মরক্কো। পর্তুগালের গোল হজমে যথেষ্ট দায় আছে গোলরক্ষক দিয়োগো কস্তার। বাঁ দিক থেকে ইয়াহিয়া আত্তিয়াত আল্লাহর ক্রস পোস্ট ছেড়ে এগিয়ে এসে পাঞ্চ করার চেষ্টায় হাতই ছোঁয়াতে পারেননি তিনি। পর্তুগালের এক খেলোয়াড়ের ওপর লাফিয়ে হেডে ঠিকানা খুঁজে নেন এন-নেসিরি।
মরক্কোর প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপে তিন গোল করলেন সেভিয়ার ২৫ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড।
একটু পর সমতায় ফিরতে পারত ফের্নান্দো সান্তোসের দল। ডান দিক থেকে ফের্নান্দেজের ভলি ক্রসবার কাঁপিয়ে ফেরে।
প্রথমার্ধে ৬৬ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে গোলের জন্য পর্তুগাল শট নেয় পাঁচটি যার একটি ছিল লক্ষ্যে। আর মরক্কোর সাত শটের দু’টি লক্ষ্যে, একটি সফল।