চট্টগ্রামের অর্ধ-শতাধিক গ্রামের কিছু সংখ্যক মানুষ ঈদ-উল-ফিতর উদযাপন করবে আগামী সোমবার(২ মে)।
সাতকানিয়ার মির্জাখীল দরবার শরীফের মুরিদগণ সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে অন্যান্য বছরের মতো এবারও একদিন আগে ঈদ-উল-ফিতর উদযাপন করবে।
দরবার শরীফের মুরিদরা সৌদি আরবের সাথে সঙ্গতি রেখে একদিন আগে থেকে রোজা পালন শুরু করেছিল। সেই অনুযায়ী আগামীকাল রবিবার তাদের ত্রিশটি রোজা পূর্ণ হবে। আগামী সোমবার সকাল দশটার সময় দরবার শরীফ মাঠে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।
দরবার শরীফের পীর হযরত মাওলানা মোহাম্মদ আরেফুল হাই এর বড় ছেলে মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ মকছুদুর রহমান ঈদের নামাজে ইমামতি করবেন বলে জানিয়েছেন মির্জাখীল উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক ও দরবার শরীফের মুরিদ বজলুল করিম চৌধুরী।
তিনি জানান, রবিবারের মধ্যে ঈদের নামাজের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে। চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে থাকা দরবার শরীফের মুরিদরা ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য দরবার শরীফে আসবে।
মির্জাখীল দরবার শরীফ সূত্রমতে, সাতকানিয়ার মির্জাখীল, এওচিয়ার গাটিয়াডেঙ্গা, মাদার্শা, খাগরিয়ার মৈশামুড়া, পুরানগড়, চরতির সুইপুরা, চন্দনাইশের কাঞ্চননগর, হারালা, বাইনজুরি, কানাই মাদারি, সাতবাড়িয়া, বরকল, দোহাজারী, জামিরজুরি, বাঁশখালীর কালিপুর, চাম্বল, শেখেরখীল, ছনুয়া, আনোয়ারার বরুমছড়া, তৈলারদ্বীপ, লোহাগাড়ার পুটিবিলা, কলাউজান, বড়হাতিয়া, এবং পটিয়া, বোয়ালখালী, হাটহাজারী, সন্দ্বীপ, রাউজান ও ফটিকছড়ির কয়েকটি গ্রামসহ চট্টগ্রামের অর্ধশতাধিক গ্রামের কিছু সংখ্যক মানুষ আগামী সোমবার ঈদ-উল-ফিতর উদযাপন করবে।
এছাড়া পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামা, আলীকদম, নাইক্ষ্যাংছড়ি, কক্সবাজারের চকরিয়া, টেকনাফ, মহেশখালী ও কুতুবদিয়ার কয়েকটি গ্রামে থাকা মির্জাখীল দরবার শরীফের মুরিদরাও আগামী সোমবার ঈদ উদযাপন করবে।
মির্জাখীল দরবার শরীফের মুরিদ ও মির্জাখীল আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক বজলুল করিম চৌধুরী বলেন, “আমাদের পুরো গ্রামের মানুষ আগামী সোমবার ঈদ-উল-ফিতর উদযাপন করবে। মির্জাখীলসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার অন্তত অর্ধশতাধিক গ্রামে থাকা দরবার শরীফের মুরিদরাও একই সময়ে ঈদ পালন করবে। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে থাকা মির্জাখীল দরবার শরীফের মুরিদরা একই সময়ে ঈদ পালন করবে। মির্জাখীল দরবার শরীফের সকল মুরিদ সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে একদিন আগে থেকে রোজা পালন শুরু করেছিল। সেই অনুযায়ী রবিবার আমাদের ত্রিশটি রোজা সম্পন্ন হবে। দরবার শরীফের অনুসারীরা দুই শত বছরের অধিক সময় ধরে সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে রোজা পালন ও ঈদ উদযাপন করে আসছে।”
তিনি আরো জানান, চট্টগ্রাম ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে থাকা অনেক মুরিদ ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য দরবার শরীফে চলে আসবে। যেসব এলাকায় অধিক সংখ্যক মুরিদ রয়েছে তারা নিজ নিজ এলাকায় ঈদের নামাজ আদায় করবে। আর যেসব এলাকায় কম সংখ্যক মুরিদ আছে তারা ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য দরবার শরীফে চলে আসবে।