দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেকের পালকে যুক্ত হলো আরও একটি মুকুট। সাংবাদিকতায় রাষ্ট্রীয় সম্মাননা একুশে পদকের পর এবার সংবাদপত্র শিল্পের বিকাশ ও মানোন্নয়নে অবদানের জন্য এ প্রবীণ সাংবাদিক পেলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের একুশে স্মারক সম্মাননা পদক।
আজ মঙ্গলবার রাতে এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেসিয়াম মাঠে আয়োজিত বইমেলায় অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে এম এ মালেকের হাতে সম্মাননা পদক তুলে দেন সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী। এ সময় মেয়র বলেন, ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে জন্ম নেয়া বাঙালি জাতিয়তাবাদের চেতনা থেকেই বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এসেছে।
মেয়র আরও বলেন, ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাঙালিরা বুঝতে পারে তাদের স্বতন্ত্র পরিচয়ের ভিত্তিতে জাতিরাষ্ট্র গড়তে হবে। এই চেতনা থেকে বাঙালি জাতিয়তাবাদের জন্ম হয়। পরবর্তীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালি জাতিয়তাবাদের ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রক্তাক্ত মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে। “আমি লজ্জিত যে ভাষা আন্দোলনের এত বছর পরও আমরা সর্বত্র বাংলা ভাষার বাস্তবায়ন করতে পারিনি। কেবল আইন করে বা জেল জরিমানা করে বাংলা ভাষার সর্বত্র বাস্তবায়ন সম্ভব নয় বরং মানুষের মধ্যে বাংলা ভাষার প্রতি মমত্ববোধ আর স্বাধীনতার চেতনাবোধ জাগ্রত হলেই কেবল সর্বত্র বাংলা ভাষা বাস্তবায়িত হবে।”
এ বছর আর ১৬ জন কৃতী ব্যক্তি একুশে স্মারক সম্মাননা পদক পান। তারা হলেন- শিল্প উন্নয়ন ও সমাজসেবায় এ.কে.খান (মরণোত্তর), সাংস্কৃতিতে বুলবুল চৌধুরী (মরণোত্তর), মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা আন্দোলনে মৌলভী সৈয়দ আহমদ (মরণোত্তর), ভাষা আন্দোলনে মোহাম্মদ এজাহারুল হক (মরণোত্তর), শিক্ষায় শাফায়েত আহমদ সিদ্দিকী (মরণোত্তর), চিকিৎসায় ডাঃ পি বি রায় এবং ডা: শমীরুল ইসলাম বাবু (মরণোত্তর), সাংবাদিকতায় নূরুল আমিন, ক্রীড়ায় আশীষ ভদ্র, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ও গবেষণায় আনোয়ার হোসেন পিন্টু, সাহিত্যক্ষেত্রে অবদানের জন্য কবিতায় খালিদ আহসান (মরণোত্তর) এবং রিজোয়ান মাহমুদ, প্রবন্ধ ও গবেষণায় আনোয়ারা আলম, কথাসাহিত্যে আজাদ বুলবুল, শিশুসাহিত্যে উৎপলকান্তি বড়ুয়া এবং জসীম মেহবুব।
সম্মাননা পদক পেয়ে অনুভূতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম. এ. মালেক, আনোয়ারা আলম, এ কে খানের সন্তান এ এম জিয়াউদ্দিন খান। আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন চসিকের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার। বক্তব্য রাখেন কাউন্সিলর বইমেলার আহ্বায়ক কাউন্সিলর ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, চসিক সচিব খালেদ মাহমুদ। উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর আবদুস সালাম মাসুম, হুরে আরা বিউটি, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা মহাজন, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিম, শিক্ষা কর্মকর্তা উজালা রানী চাকমা, উপ-সচিব আশেক রসুল চৌধুরী টিপু।