লোহাগাড়ায় ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামী জালাল উদ্দিনকে (৩২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব)।
আজ মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে চুনতি ইউনিয়ন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার জালাল উদ্দিন উপজেলার বড়হাতিয়া ইউনিয়নের তৈয়বের পাড়ার মৃত নুর আহমদের পুত্র।
র্যাব- ৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার জালাল উদ্দিন ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
জানা যায়, গত ২৯ সেপ্টেম্বর ধর্ষণের ঘটনায় ২ জনকে আসামী করে লোহাগাড়া থানায় মামলা করেন ভূক্তভোগী ভিকটিম। পরদিন মামলার অপর আসামী একই এলাকার মো. আলীর পুত্র মো. কায়সারকে (৩৫) গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে থানা পুলিশ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ভিকটিম ৩ সন্তানের জননী। তার স্বামী চট্টগ্রাম শহরের একটি দোকানে চাকরি করেন। ভিকটিম স্বামী সন্তান নিয়ে লোহাগাড়ার বড়হাতিয়া এলাকায় বসবাস করেন। গত ২৫ সেপ্টেম্বর ভিকটিম তার ভাসুরের মেয়েকে নিয়ে বিদ্যুৎ বিল দিতে বড়হাতিয়া মনুফকির হাট বাজারে যান।
বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ শেষে বাড়ি ফেরার পথে এলাকার চিহ্নিত দুস্কৃতিকারী মো. কায়সার (৩৫) ও জালাল উদ্দিন (৩২) রিক্শা আটকিয়ে তাদেরকে জোরপূর্বক একটি পরিত্যাক্ত টিনশেড ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে আসামী মো. কায়সার ভিকটিমকে ধর্ষণ করে। এছাড়া আসামী জালাল উদ্দিন তার মোবাইল ফোনে ধর্ষণের ভিডিওচিত্র ধারণ করে। তখন ভিকটিমের ভাসুরের মেয়ে চিৎকার করলে আসামী জালাল উদ্দিন তার মুখ চেপে ধরে এবং তাকেও ধর্ষণ ও ধর্ষণের ভিডিওচিত্র মোবাইল ফোনে ধারণ করে।
এরপর ধর্ষণকারীরা ভিকটিমদের পরিত্যাক্ত টিনশেড ঘরে রেখে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ধর্ষণকারীরা ধর্ষণের বিষয়টি কাউকে না জানাতে ও ২০ হাজার টাকা দাবি করে ভিকটিমদের হুমকি দেয়। যদি কাউকে কিছু বলে ও দাবিকৃত টাকা না দেয়া হয় তাহলে তাদের মোবাইল ফোনে ধারণকৃত ধর্ষণের ভিডিওচিত্র ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। ভিকটিমরা ভয়ে আসামীদেরকে সাড়ে ৮ হাজার টাকা দিয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।