নগরীর কোতোয়ালী থানার দুইটি মাদকের মামলায় দুই দফা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামীকে ১৪ বছর পর গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭। তার নাম মো. কুতুব উদ্দিন বলে জানা গেছে।
আজ শনিবার (২০ মে) বিকেলে র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবছার এই তথ্য জানান।
মো. কুতুব উদ্দিন (৪২), চন্দনাইশ থানার বাইনঝুড়ি এলাকার মৃত ডা. গোলাম মাওলার ছেলে।
র্যাব জানিয়েছে, ২০০৭ সালের ২০ জুন ও ২০০৯ সালের ২ মার্চ নগরীর কোতোয়ালী থানা এলাকায় থেকে আফিম ও কোকেন সঙ্গে নিয়ে গাড়িসহ মো. কুতুব উদ্দিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এই ঘটনায় আসামীর বিরুদ্ধে নগরের কোতোয়ালী থানায় দু’টি মামলা হয়। মামলা হওয়ার পরে কারাগার থেকে কয়েক মাস পর জামিনে বের হয়ে এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যান তিনি। দীর্ঘদিন আদালতে হাজিরা না দিলেও আসামির অনুপস্থিতে আদালত পৃথক দুটি মামলায় কুতুব উদ্দিনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবছার জানান, যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. কুতুব উদ্দিনকে আইনশৃংখলা বাহিনীর নিকট থেকে গ্রেফতার এড়াতে নারায়নগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সাইনবোর্ড এলাকায় অবস্থান করছে।
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার সকাল সাড়ে এগারোটায় অভিযান চালিয়ে মো. কুতুব উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়। আইনশৃংখলা বাহিনীর নিকট থেকে গ্রেফতার এড়াতে দীর্ঘ ১৪ বছর যাবৎ ঢাকা ও নারায়নগঞ্জ জেলাসহদেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন পরিচয়ে আত্মগোপনে ছিল কুতুব উদ্দিন।
তিনি আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদে কুতুব উদ্দিন জানিয়েছেন, জামিনে বের হয়ে আইনশৃংখলা বাহিনীর নিকট থেকে গ্রেফতার এড়াতে ২০১০ ও ২০১১ সালের দিকে ঢাকায় আত্মাগোপন করে। ঢাকায় বিভিন্ন পেশায় কাজ করলেও একটি পর্যায়ে ঢাকার শাহবাগ এলাকায় বিভিন্ন গার্মেন্টস থেকে রিজেক্ট হওয়া পণ্য ক্রয় করে ঢাকা সিটিতে বিভিন্ন খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে সরবরাহের ব্যবসা করত। সেই পেশার সঙ্গে দীর্ঘ ১০ বছর জড়িত ছিলেন। কুতুব উদ্দিন তার পরিবারের সঙ্গেও সচরাচর দেখা করার জন্য চট্টগ্রামে আসত না। তার পরিবার ঢাকা গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করে আসত। এমনকি সরাসরি পরিবারের সঙ্গে মোবাইল ফোনেও কখনো যোগাযোগ করত না। পরবর্তীতে ব্যবসায় তেমন লাভ না হওয়ায় ক্ষতির পরিমাণ বেশি দেখে সর্বশেষ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় চার-পাঁচ জনের শেয়ারে রেষ্টুরেন্ট অ্যান্ড সুইটস এর ব্যবসা শুরু করে।
পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান ওই র্যাব কর্মকর্তা।