ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের একটি টেলিভিশন টাওয়ার এবং কাছাকাছি সম্প্রচার স্থাপনায় রাশিয়ার হামলার পর ৫ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ইউক্রেনের কর্মকর্তারা এ খবর জানিয়েছেন যুক্তরাজ্য ভিত্তিক বার্তা সংস্থা বিবিসিকে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয় ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের সুনির্দিষ্ট কয়েকটি নিশানায় হামলা চালানোর হুমকি দিয়ে অধিবাসীদের সতর্ক করার এবং এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলার পরই এ হামলার ঘটনা ঘটল।
আজ মঙ্গলবার(১ মার্চ) বিকালে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয় বলেছে, “রুশ বাহিনী কিয়েভে ইউক্রেনের সিকিউরিটি সার্ভিসের (এসবিইউ) প্রযুক্তি কেন্দ্রগুলো এবং প্রধান সাই-অপস সেন্টারকে (সেন্টার ফর ইনফরমেশন এন্ড সাইকোলোজিক্যাল অপারেশনস) নিশানা করে হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।”
‘নির্ভুলভাবে লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম অস্ত্র’ দিয়ে ওইসব নিশানায় হামলা চালানো হবে জানিয়ে কাছাকাছি এলাকাগুলো থেকে অধিবাসীদেরকে সরে যেতে বলা হয়েছিল বিবৃতিতে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, “রাশিয়ার বিরুদ্ধে উস্কানিতে ইউক্রেনীয় জাতীয়তাবাদীদের সঙ্গে যেসব নাগরিক জড়িত তাদেরকে এবং কিয়েভের অন্যান্য বাসিন্দা যারা এইসব রিলে-স্টেশনের কাছে বাস করছেন তাদেরকে বাড়িঘর ছেড়ে চলে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।”
যদিও এই লক্ষ্যস্থলগুলো নগরীর কোন জায়গায় অবস্থিত সেই সম্পর্কে কোনো কিছু জানানো হয়নি বিবৃতিতে। রুশ কর্মকর্তারা বলছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রচারণা বন্ধ করতেই এই হামলা শুরু করছেন তারা।
‘রিলে-স্টেশন’ শব্দটির ব্যাখ্যায় সিএনএন-এর সংবাদদাতা ক্ল্যারিসা ওয়ার্ড বলেছেন, এর মানে যোগাযোগ টাওয়ার, বড় বড় অ্যান্টেনা বা এই ধরনের নিশানাই বোঝাচ্ছে বলে মনে করছেন তারা।
ওয়ার্ড বলেন, “এখন পর্যন্ত কিয়েভের উপকণ্ঠের বিভিন্ন লক্ষ্যে হামলা হয়েছে কিন্তু এখন হামলা কিয়েভের কেন্দ্রস্থলে হতে চলেছে বলে মনে হচ্ছে, যেরকমটি অনেকেই আশঙ্কা করেছিলেন।”
প্রসঙ্গত, আজ মঙ্গলবারই কিয়েভের দিকে এগুতে শুরু করেছে রাশিয়ার প্রায় ৪০ মাইল লম্বা একটি সাঁজোয়া বহর। সেই বহরের ছবি ধরা পড়ে উপগ্রহচিত্রে। সেনাসদস্যের সঙ্গে ট্যাংক, সাঁজোয়া গাড়িও আছে এই বহরে।
সেই ছবিতে দেখা গেছে, বহরটি কিয়েভে এগুচ্ছে উত্তর দিক থেকে। এই ছবি প্রকাশ্যে আসার পরই কিয়েভ-সংলগ্ন এলাকায় বোমা ফেলা শুরু করে রাশিয়া।