ইরানের ইসলামিক বিপ্লবের নেতা প্রয়াত আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনির পৈতৃক বাড়িতে আগুন জ্বলছে এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
অধিকারকর্মীরা বলছে, বিক্ষোভকারীরা বাড়িটিতে আগুন দিয়েছে। গত সেপ্টেম্বরে পুলিশ হেফাজতে মাশা আমিনি নামের এক তরুণীর মৃত্যু ঘিরে ইরানে বিক্ষোভ চলছে।
আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স আগুন লাগার স্থানটি এবং বাড়ির তোরণের সঙ্গে মিলিয়ে দেখে দুটো ভিডিও ক্লিপ যাচাই করেছে।
তবে ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা তাসনিম খোমেনির বাড়িতে অগ্নিসংযোগের কথা অস্বীকার করে বলছে, বাড়ির বাইরে অল্প কিছু মানুষ সমবেত হয়েছিল।
কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলোতে বাড়িটিতে আগুন জ্বলে উঠতে দেখা যাওয়ার পাশাপাশি বাড়ির সামনে বেশ কিছু সংখ্যক মানুষকে উল্লাস করতে দেখা গেছে।
ভিডিওগুলো কবে ধারণ করা সেটি নিরপেক্ষভাবে যাচাই করতে পারেনি রয়টার্স। মানবাধিকার নেটওয়ার্ক ১৫০০-তাসভির বলেছে, ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানী তেহরানের দক্ষিণে খোমেনির জন্মশহর খোমেইনে।
১৯৭৯ সালে ইরানে যে ইসলামিক বিপ্লব হয়েছিল তার পুরোধা ছিলেন আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনি যিনি ইমাম খোমেনি নামে বেশি পরিচিত। ইসলামিক বিপ্লবের পর থেকে ৪০ বছর ইরান শাসন করেন শিয়া ধর্মীয় গুরুরা। সেই সময় খোমেনিই ছিলেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা। ১৯৮৯ সালে খোমেনি মারা যান।
খোমেনির জন্মস্থান মারকাজি প্রদেশের ওই খোমেইন শহরের নামেই তার নাম রাখা হয়েছিল খোমেনি। বাড়িটিকে পরে খোমেনি স্মৃতি জাদুঘরে পরিণত করা হয়। আগুনে বাড়িটির ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানা যায়নি।
তাসনিম বার্তা সংস্থা বলেছে, “(অগ্নিসংযোগ) খবরটি মিথ্যা। খোমেনির বাড়ির দরজা জনগণের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।”
উল্লেখ্য, পোশাকবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে গত সেপ্টেম্বরে গ্রেপ্তার হওয়া ২২ বছর বয়সি কুর্দি তরুণী মাশা আমিনি পুলিশ হেফাজতে মারা যাওয়ার পর থেকেই ইরান বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে আছে। হিজাববিরোধী এই বিক্ষোভ সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ নিয়েছে।