বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “জনগণ শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন চায় না, জনগণ এই সরকারের পদত্যাগ চায় কারণ এই সরকার বিগত নির্বাচনে কী করেছে তা সবাই জানে। তাই আগে সরকারকে পদত্যাগ করতেই হবে। তারপর রাষ্ট্রের কাঠামো মেরামত করতে হবে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে। সেই নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচনে যাবে।”
আজ রবিবার (১৬ এপ্রিল) বিকালে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে নগরীর কাজীর দেউড়ির একটি কনভেনশন সেন্টারে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করের সঞ্চালনায় আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অথিতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, “বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ, গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ ফিরে পাবে কি না সেই সংশয় কাজ করছে। শুধু দেশের ভেতর নয়, দেশের বাইরেও এটি নিয়ে কথা উঠছে। সবাই বিএনপি’র দিকে তাকিয়ে। ইতিমধ্যে বিএনপি’র নেতাকর্মীরা সড়কে আন্দোলনের মাধ্যমে দেশ ও বিদেশের কাছে বার্তা দিয়েছে, এই ফ্যাসিস্ট সরকারের বিদায় ছাড়া কোনো আপস নয়। এই সরকারের বিদায়ের জন্য যা যা করা দরকার বিএনপি’র নেতাকর্মীরা করবে।”
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন বলেন, “দেশের মানুষ অতীব কষ্টে, রাগে, ক্ষোভে ফুসে উঠেছে। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারকে এই দেশের জনগণ আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। এই সরকার একটি দুর্নীতিবাজ সরকার। দুর্নীতির কারণে আজ দেশের বেহাল দশা হয়েছে। এই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে। আপনাদের প্রস্তুতি নিতে হবে, বীর চট্টলা থেকেই সরকার পতনের আন্দোলনের সূচনা হবে।”
সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, “বিদ্যুৎ নেই, পানি নেই, গ্যাস নেই। তাই এই স্বৈরাচার সরকারেরও আর দরকার নেই। এটাই আজ জনগণের কথা। দেশে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির পাশাপশি বিদ্যুতের সীমাহীন লোডশেডিং শুরু হয়েছে। মানুষ প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন নিয়ে সরকার নিয়মিত জাতির সাথে মিথ্যাচার করেছে। কুইক রেন্টালের নামে সরকার দুর্নীতি ও লুটপাটে ব্যস্ত।”
উত্তর জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, “আওয়ামী লীগের দুঃশাসনে দেশবাসী অতিষ্ঠ। দেশের মানুষ পরিবর্তন চায়। আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটাতে হবে। আওয়ামী লীগ সরকারের ভোট চুরির ঘটনা এখন বিশ্ববাসী জেনে গেছে। তারা মনে করেছে তাদের ভোটচুরির কথা কেউ টের পায়নি।”
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, “জোর করে, মানুষ হত্যা, গুম, খুন করে, জনগণকে ভয় দেখিয়ে, অবৈধভাবে রাতে ভোট করে ১৪ বছর ক্ষমতায় আছেন। আগামীতে একদলীয়ভাবে কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।”
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এম নাজিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দিন মজুমদার, কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সদস্য হুম্মাম কাদের চৌধুরী, সাথী উদয় কুসুম বড়ুয়া, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এডভোকেট আবদুস সাত্তার, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য এরশাদ উল্লাহ, হারুন জামান, হাজী মো. আলী, মাহবুব আলম, এড মুফিজুল হক ভূঁইয়া, পেশাজীবী নেতা সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, ডা.খুরশিদ জামিল, অধ্যাপক ডা.জসিম উদ্দিন, ডা.তমিজ উদ্দিন মানিক, প্রফেসর নজরুল কাদির, এডভোকেট এনামুল হক, এডভোকেট হাসান আলী, নিয়াজ মো. খান, এস এম আবুল ফয়েজ, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আবুল হাশেম, মঞ্জুর আলম মঞ্জু, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মঞ্জুর আলম চৌধুরী মঞ্জু, মো. কামরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় যুবদলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহসভাপতি মুহাম্মদ শাহেদ, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইকবাল হোসেন,স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, মহিলা দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক ফাতেমা বাদশা, মহানগর মহিলা দলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনি, সাধারণ সম্পাদক জেলী চৌধুরী, শ্রমিক দলের শেখ নূরউল্লাহ বাহার, থানা বিএনপি’র সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, মোহাম্মদ আজম সাধারণ সম্পাদক সাহাব উদ্দিন, নূর হোসেন, কৃষক দলের আহ্বায়ক মো. আলমগীর, তাঁতী দলের মনিরুজ্জমান টিটু, জাসাস-এর এম এ মুছা বাবলু, মৎসজীবী দলের হাজী নুরুল হক প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।