খাগড়াছড়িতে সাংগ্রাই উৎসবে মাতোয়ারা মারমারা

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি | বুধবার , ১৩ এপ্রিল, ২০২২ at ১০:২৬ অপরাহ্ণ

নানা আায়োজনে পুরাতন বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে বরণ করছে পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষ।

উৎসবের ২য় দিনে খাগড়াছড়িতে উদযাপিত হচ্ছে মারমা জনগোষ্ঠীর সাংগ্রাই উৎসব।

বর্ণিল আয়োজনে উৎসবে মাতোয়ারা মারমা জনগোষ্ঠী। সাংগ্রাইয়ের মুলআর্কষণ জলকেলি বা পানি উৎসব দেখতে পর্যটক সমাগম বেড়েছে খাগড়াছড়িতে।

পুরাতন বছরকে বিদায় আর নতুন বছরকে বরণ করে নিতে খাগড়াছড়িতে মারমা সম্প্রদায়ের নববর্ষবরণ উৎসব সাংগ্রাই শুরু হয়েছে।

আজ বুধবার (১৩ এপ্রিল) সকালে মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে মারমা সম্প্রদায়ের এ উৎসব শুরু হয়।

সকালে শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। খাগড়াছড়ি পানখাইয়া উন্নয়ন সংসদ মাঠ থেকে শোভাযাত্রা বের হওয়ার পর শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

‘সকল দুঃখ গ্লানি মুছে যাক, সবখানে নবপ্রাণ ফিরে পাক’ এ স্লোগানে উদযাপিত হয় রি-আকাজা বা জল কেলি।

এ সময় তরুণ-তরুণী, যুবক ও যুবতীরা সামনের দিনগুলোতে অনাবিল সুখ আর শান্তি কামনা করেন।

করোনার কারণে দুই বছর বন্ধ থাকার পর আবার সাংগ্রাই উৎসবে মেতে ওঠে মারমা জনগোষ্ঠী।

উৎসবে অংশ নেয়া মারমা তরুণীরা জানান, সারা বছর আমরা সাংগ্রাই উৎসবের জন্য আমরা অপেক্ষা করি। এটি আমাদের প্রধান উৎসব। তবে গত দুই বছর করোনার কারণে সাংগ্রাই উদযাপন করতে পারিনি। তাই এবার উচ্ছ্বাস বেশি। জলকেলিতে অংশ নিয়েছি। বন্ধুরা মিলে খুব আনন্দ করেছি।

এদিকে, সাংগ্রাইসহ বৈসাবি উৎসব দেখতে খাগড়াছড়িতে ভিড় করেছে পর্যটকরা। ঐতিহ্যবাহী উৎসব দেখে মুগ্ধ তারা।

পর্যটক শান্তা পাল বলেন, “পাহাড়ে এবার উৎসব দেখার জন্য এসেছি। আজকে মারমাদের সাংগ্রাই উৎসবে অংশ নিয়েছি। অসাধারণ অনুভূতি। এতো রঙিন আয়োজন।”

মারমা ভাষার কবি চিংলামং চৌধুরী বলেন, “মারমা জনগোষ্ঠীর বিশ্বাস এই পানি উৎসবের মধ্য দিয়ে অতীতের সকল দুঃখ-গ্লাানি ও পাপ ধুয়ে-মুছে যাবে। সাংগ্রাই মারমাদের প্রধান সামাজিক উৎসব তবে এতে ধর্মীয় সংশ্লেষও রয়েছে।”

উৎসবে অংশ নিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা পাহাড়ে বর্ণিল উৎসবে সম্প্রীতির বন্ধন সুদৃঢ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপুকুরে গোসলে নেমে আর ফিরল না নিশাত
পরবর্তী নিবন্ধচমেক হাসপাতাল এলাকায় নওফেলের পক্ষে ইফতার সামগ্রী বিতরণ