“যারা চাঁদ দেখতে ভালোবাসে, তারা সুন্দর মনের অধিকারী” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে খাগড়াছড়িতে প্রথমবারের মতো এস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি’র উদ্যোগে উন্নতমানের টেলিস্কোপের মাধ্যমে দুই দিনব্যাপী পূর্ণিমার চাঁদ দেখা উৎসব শেষ হয়েছে।
গত রবিবার(১৫ মে) সন্ধ্যায় জেলা শহরের টিটিসি সংলগ্ন খোলা মাঠে দুই তরুণের উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের শুরু হয়। সোমবার সন্ধ্যায় তা শেষ হয়।
চাঁদ দেখা উৎসবের উদ্বোধন করেন খাগড়াছড়ি জেলা শিক্ষা অফিসার উত্তম খিসা।
এসময় তিনি বলেন, “খাগড়াছড়ি এস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির যে চাঁদ দেখা উৎসব তা অবশ্যই নতুন প্রজন্মের কাছে মাইলফলক হয়ে থাকবে। যারা বিজ্ঞানে আগ্রহী তাদের জন্য এটি শিক্ষণীয়। এরকম একটি আয়োজনের ফলে আমাদের বিজ্ঞানের চর্চা অব্যাহত থাকবে।”
আয়োজকরা জানান, এবারের পূর্ণিমা বৌদ্ধদের কাছে খুবই পবিত্র। এ পূর্ণিমা তিথিতে মহামানব গৌতম বুদ্ধ জম্ম, মৃত্যু ও বুদ্ধত্ব লাভ করেন। তাই এটি বুদ্ধ পূর্ণিমা নামেই সমধিক পরিচিত। তাই আজকের এই দিনে চাঁদ দেখা উৎসবের আয়োজন করেছেন তারা।
চাঁদ দেখতে আসা সংগীত শিল্পী জুলি মারমা বলেন, “আমার খুব ইচ্ছে ছিল কাছ থেকে চাঁদ দেখব। এটা এতোদিন স্বপ্নের মতো ছিল। আজ তা বাস্তবে পরিণত হয়েছে। আমার খুব ভালো লাগছে এতো কাছ থেকে চাঁদ দেখতে পেরে। যারা এই চাঁদ দেখার আয়োজন করেছেন তাদেরকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।”
এস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির উদ্যোক্তা সবুজ চাকমা বলেন, “আমরা আজকেই প্রথম পূর্ণিমার চাঁদ দেখার মধ্য দিয়ে এটির যাত্রা শুরু করেছি। আমাদের মূল উদ্দেশ্য হলো নতুন প্রজন্মকে বিজ্ঞানমনস্ক করা। এটির মাধ্যমে মানুষের ভিতর চাঁদ নিয়ে যে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন থাকে তা ব্যাখ্যা করে তাদের বুঝিয়ে দেওয়া। এভাবে আমাদের যে সৌরজগত ও বিশ্বভ্রহ্মান্ড তার সব গ্রহ-নক্ষত্র নিয়ে আমরা ভবিষ্যতে কাজ করব এবং জনসাধারণকে দেখার সুযোগ করে দিব।”