রাঙামটি পার্বত্য জেলার কাপ্তাই উপজেলায় দুই দিন (শুক্রবার ও শনিবার) টানা ভারি বৃষ্টি হচ্ছে। এই বৃষ্টিতে উপজেলার কয়েকটি স্থানে পাহাড় ধসে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। কাপ্তাই সড়কের শেখ রাসেল পার্ক এলাকায় একটি বড় গাছ উপড়ে পড়ে কিছু সময় যান চলাচল বন্ধ ছিল। এমন পরিস্থিতিতে কাপ্তাই উপজেলায় আতঙ্ক বাড়ছে। বিশেষ করে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারী শত শত পরিবার চরম আতঙ্ক নিয়ে পাহাড়ের ঢালে বসবাস করছেন।
সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, উপজেলার ঢাকাইয়া টিলা, কাপ্তাই নতুন বাজার, মুরগির টিলা, কেপিএম টিলা, মুরালি পাড়া, বরইছড়ি, চিৎমরমসহ বিভিন্ন স্থানে শত শত মানুষ পরিবার নিয়ে ঝুঁকিতে বসবাস করছেন।
গতকাল শুক্রবার ভারি বৃষ্টিতে ঢাকাইয়া টিলার একটি কাঁচা ঘর ধসে পড়ে। একই এলাকায় একটি গাছ উপড়ে পড়ে আরেকটি টিনের ঘরের উপর। ঢাকাইয়া টিলায় কত পরিবার বসবাস করছে তার সঠিক পরিসংখ্যান করাও কঠিন। তবে সবাই চরম ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন বলে জানা গেছে।
এখানে এমন কিছু ঘর আছে যেগুলো যেকোনো মুহূর্তে হুড়মুড় করে ভেঙে পড়বে বলে অনুমিত হচ্ছে। এমন জায়গাতেও মানুষ বসবাস করছেন।
৪নং কাপ্তাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ বলেন, “ঝুঁকিতে থাকা পরিবারের জন্য আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি আশ্রয় কেন্দ্র খুলেছি। ঝুঁকিতে থাকা পরিবারগুলোর সদস্যদের বারবার অনুরোধ জানাচ্ছি আশ্রয় কেন্দ্রে আসার জন্য।”
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিউদ্দিন নিজে এসে মাইকিং করে সবাইকে নিরাপদ স্থানে আসার অনুরোধ জানাচ্ছেন কিন্তু অধিকাংশ মানুষ ঝুঁকিতে বসবাস করছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিউদ্দিন বলেন, “কাপ্তাই উচ্চ বিদ্যালয়কে আপাতত অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত করেছি। ইতোমধ্যে ৬০টি পরিবার আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছেন। তাদের সবাইকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।”
তিনি বলেন, “বৃষ্টি অবিরাম ঝরছে। এই বৃষ্টির ফলে বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেজন্য উপজেলা তথ্য অফিসের মাধ্যমে মাইকিং করে সবাইকে সতর্ক করা হচ্ছে।”
যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান তিনি।