রাঙামাটি পার্বত্য জেলার কাপ্তাই উপজেলায় চালককে ধাক্কা দিয়ে ফেলে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়েছে দুই যাত্রী। অবশ্য পুলিশের তাৎক্ষণিক প্রচেষ্টায় মোটরসাইকেলসহ দুই ছিনতাইকারীকে আটক করা সম্ভব হয়।
ঘটনাটি ঘটেছে কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনা থানাধীন রাইখালী ইউনিয়নে।
মোটরসাইকেল ছিনতাইকারীরা হলো বিলাইছড়ি উপজেলার শুকনাছড়ি এলাকার বাসিন্দা প্রেম চাকমার ছেলে মোহিম চাকমা (২৮) এবং খাগড়াছড়ির মৌলবীপাড়া এলাকার বাসিন্দা নবী হোসেনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (১৯)।
চন্দ্রঘোনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “রাইখালী ইউনিয়নে বসবাসকারী মো. আরাফাত(২০) নামে এক যুবক দীর্ঘ দিন ধরে এলাকায় ভাড়ায় মোটরসাইকেলে যাত্রী বহন করে আসছিলেন। আজ শুক্রবার(১০ জুন) বিকাল ৩টার সময় দুই যাত্রী বান্দরবান যাবেন বলে মোটরসাইকেল ভাড়া নেন। রাইখালী থেকে আনুমানিক ১০ কিলোমিটার পথ যাওয়ার পর হন্তাকাটা নামক নির্জন স্থানে পেছনে বসা দুই যাত্রী হঠাৎ চালককে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে মোটরসাইকেলটি নিয়ে বান্দরবানের দিকে পালিয়ে যায়।”
ওসি বলেন, “এসময় আরাফাত সামান্য আহত হলেও দ্রুত ঘটনাটি চন্দ্রঘোনা থানা পুলিশকে জানান। খবর পাওয়ার সাথে সাথে চন্দ্রঘোনা থানা বাঙ্গালহালিয়া পুলিশ ক্যাম্পকে ঘটনাটি অবগত করে। বাঙ্গালহালিয়া পুলিশ ক্যাম্পের এসআই সাইফউদ্দীন এবং এএসআই কামরুজ্জামান ফোর্স নিয়ে বাঙ্গালহালিয়ায় সড়কের উপর অবস্থান নেন। কিছুক্ষণ পর মোহিত চাকমা ও সাইফুল ইসলাম মোটরসাইকেল নিয়ে বাঙ্গালহালিয়া এলাকা পার হওয়ার সময় পুলিশ তাদের আটক করে। পরে ছিনতাইকারীদের চন্দ্রঘোনা থানায় হস্তান্তর করা হলে তাদের রাঙামাটি জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়।”
এই ঘটনার পর মোটরসাইকেলে যারা যাত্রী বহন করেন তাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
তবে পুলিশের তৎপরতায় দ্রুত মোটরসাইকেল উদ্ধার হওয়ায় এবং ছিনতাইকারীদের আটক করতে পারায় চন্দ্রঘোনা থানা পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী।