টানা বৃষ্টিতে কাপ্তাইয়ে নিম্নআয়ের মানুষের চরম ভোগান্তি

৪১ স্থানে পাহাড় ধস

কাপ্তাই প্রতিনিধি | বুধবার , ৯ আগস্ট, ২০২৩ at ৪:৫২ অপরাহ্ণ

রাঙামাটি পার্বত্য জেলার কাপ্তাই উপজেলায় গত ৬ দিন ধরে চলছে টানা ভারী বৃষ্টি। এই বৃষ্টিতে সাধারণ মানুষ ঘর থেকেও বের হতে পারেনি।

যারা দিনমজুরের কাজ করে এবং রাস্তার ধারে বসে ক্ষুদ্র ব্যবসা করে এই বৃষ্টিতে তাদের চরম ভোগান্তি হয়েছে। ঘর থেকে বের হতে না পারায় এবং হাট-বাজার বন্ধ থাকায় অনেকেরই আয় রোজগারও ছিল না।

চলমান এই ভারী বৃষ্টিতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় প্রায় ৪১ স্থানে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। কয়েকটি ঘরবাড়ি এবং রাস্তারও ক্ষতি হয়েছে। পাহাড় ধসে রাস্তার উপর পড়লে কাপ্তাই সড়কে সব ধরনের যান চালাচলে মারাত্মক বিঘ্ন সৃস্টি হয়। বৈরি আবহাওয়ায় বিপুল সংখ্যক মানুষ পাহাড়ের ঢালে চরম ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে। তবে ৪ শতাধিক পরিবারকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে আনা হয়েছে বলে জানান কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিউদ্দিন।

কাপ্তাই উপজেলার বরইছড়িতে প্রতি বুধবার সাপ্তাহিক বড় বাজার বসে। দূরদূরান্ত থেকে পাহাড়ি নারী-পুরুষ মালামাল বিকিকিনি করার জন্য বুধবারের অপেক্ষায় থাকলেও আজ বুধবার (৯ আগস্ট) বৃষ্টির কারণে বাজার জমেনি। ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েরই উপস্থিতি ছিল কম।

টানা বৃষ্টিতে কর্ণফুলী নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিন দিন লিচুবাগানে ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। তবে আজ বুধবার সীমিত পরিসরে পুনরায় ফেরি চলাচল শুরু হয়। উপজেলার চন্দ্রঘোনা, রাইখালী, চিৎমরম, কাপ্তাই এবং ওয়াগ্গা ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলে টানা বৃষ্টিতে কমবেশি পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, “ভারী বৃষ্টির ফলে ঝুঁকিতে থাকা ৪৭১ জন সাধারণ স্বল্প আয়ের মানুষকে প্রশাসনের উদ্যোগে কাপ্তাই উচ্চ বিদ্যালয়ে গড়ে তোলা আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে আনা হয়েছে। তাদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে।”

চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন মিলন বলেন, “পাহাড়ের ঢালে বসবাস করা ৩০টি পরিবারকে ইউনিয়ন পরিষদে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।ইউনিয়নের পক্ষ থেকে তাদের তিন বেলা খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে।”

কাপ্তাই মানবাধিকার কর্মী টিএস তালুকদার গত তিন দশকে তিনি এমন লাগাতার মুষলধারে বৃষ্টি হতে দেখেননি বলে জানান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচসিক অযোগ্য, তাই কাজ পেয়েছে সিডিএ
পরবর্তী নিবন্ধসারাদেশের সাথে বান্দরবানের সড়ক যোগাযোগ এখনো বিচ্ছিন্ন