জোরারগঞ্জ থানায় ১৩ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের মামলায় দুই যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
আজ বুধবার (২ আগস্ট) চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক ফেরদৌস আরা এই রায় দেন।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন আদালতে বেঞ্চ সহকারী কফিল উদ্দিন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলো কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর থানার সাতুড়া এলাকার সুনাম উদ্দিনেরর ছেলে মো. মিশু (২৩) ও ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার নাসিমনগর থানার কুনদা বড়বাড়ীর মো. আলীর ছেলে মো. হৃদয় (২৫)।
ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট খন্দকার আরিফুল আলম বলেন, “এগারোজনের সাক্ষ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত দুই আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ৩ লাখ টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরও ৩ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে। রায় ঘোষণার সময় আদালতে আসামীরা উপস্থিত ছিল। পরে সাজা পরোয়ানামূলে আসামীদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।”
মামলার নথি থেকে জানা যায়, জোরারগঞ্জ থানার সোনাপাহাড় এলাকায় ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরীকে মুরগি ধরার কথা বলে ২০২০ সালের ২৭ অক্টোবর প্রতিবেশী মিশুর ঘরে ডেকে নিয়ে যায়। এ সময় হৃদয় নামে এক যুবকও মিশুর ঘরে ছিল। মোবাইল ফোনে গান শোনানোর কথা বলে পাশের কক্ষে ওই কিশোরীকে নিয়ে গিয়ে দুইজন মিলে ধর্ষণ করে। পরে কিশোরীটির চিৎকার শুনে ফুফু এসে তাকে উদ্ধার করেন।
এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা মো. আলম বাদী হয়ে জোরারগঞ্জ থানায় দু’জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর তৎকালীন থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন ফারুকী দু’জনকে আসামী করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।