আগামী ৮ ও ৯ নভেম্বর টানা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনকালীন কেয়ারটেকার সরকার গঠন, আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ সব রাজবন্দি এবং ওলামা-মাশায়েখের মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসার দাবিতে সংগঠনটি এ অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
সোমবার (৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম এক বিবৃতিতে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, সরকার একতরফা প্রহসনের নির্বাচন করে আবারও ক্ষমতা কুক্ষিগত করার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। সরকারের অপশাসনে দেশের মানুষ অতীষ্ঠ হয়ে পড়েছে। মানুষকে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না।
জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। দেশে চলছে অবিচার-অনাচার।
দুর্নীতি ও লুটপাট চলছে অবাধে। দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করা হয়েছে। বিরোধীদলের লোকদের ওপর যখন-তখন হামলা করা হচ্ছে। গণগ্রেপ্তার করে মিথ্যা ও সাজানো মামলা দিয়ে নেতাকর্মীদের বাড়িছাড়া করা হয়েছে। ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করে ব্যাপক ক্ষতি করা হচ্ছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়ে অনেককে পথের ভিখারি বানানো হয়েছে। এভাবে কোনো দেশ চলতে পারে না।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, এ অবস্থা থেকে দেশকে বাঁচানো এবং ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে আগামী ৮ নভেম্বর বুধবার ভোর ৬টা থেকে শুরু হয়ে ১০ নভেম্বর শুক্রবার ভোর ৬টা পর্যন্ত সারাদেশে টানা ৪৮ ঘণ্টা রাজপথ, রেলপথ ও নৌপথ অবরোধের তৃতীয় দফা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করছি। ঘোষিত কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে সফল করে আন্দোলনকে চূড়ান্ত লক্ষে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমি জামায়াতে ইসলামীর সর্বস্তরের জনশক্তি এবং দেশপ্রেমিক সংগ্রামী জনতার প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
এদিকে, এক দিন বিরতি দিয়ে আবারও ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ ঘোষণা করেছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো।
আজ সোমবার (৬ নভেম্বর) বিকালে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন।