গাজার উত্তরের ঘনবসতিপূর্ণ একটি শরণার্থী ক্যাম্পে ইসরায়েলের বিমান হামলায় অন্তত ৫০ জন নিহত এবং দেড়শতাধিক ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
ওই ক্যাম্পের পাশেই ইন্দোনেশিয়া সরকার পরিচালিত একটি দাতব্য হাসপাতালের প্রধান মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এ বিষয়ে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।
গাজা সিটির উত্তরে অবস্থিত জাবালিয়া শরণার্থী ক্যাম্পটি ছোট্ট ওই ভূখণ্ডে থাকা আটটি শরণার্থী ক্যাম্পের মধ্যে সবচেয়ে বড়। জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৩ সালের জুলাই মাসেও সেখানে এক লাখ ১৬ হাজারের কিছু বেশি নিবন্ধিত ফিলিস্তিনি শরণার্থীর বসবাস ছিল।
১৯৪৮ সালে আরব যুদ্ধের পর থেকেই শরণার্থীরা ওই ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া শুরু করে। যেটির আয়তন মাত্র ১ দশমিক ৪ বর্গকিলোমিটার। জাবালিয়া ক্যাম্পে ১৬টি ভবনে ২৬টি স্কুল পরিচালিত হয়। এছাড়াও সেখানে রয়েছে একটি খাবার বিতরণ কেন্দ্র, দুইটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র, একটি পাঠাগার এবং সাতটি পানির কূয়া।
শাটি ক্যাম্পের মত জাবালিয়া ক্যাম্পও ওই এলাকায় অবস্থিত যেটি হামাসের সঙ্গে সংঘাত শুরু হওয়ার পর ইসরায়েল খালি করে দিতে বলেছিল।
চারদিন হলো ইসরায়েলের পদাতিক বাহিনী গাজার অভ্যন্তরে প্রবেশ করে হামাস যোদ্ধাদের সঙ্গে লড়াই করছে। সেই সঙ্গে গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া বিমান হামলাও অব্যাহত আছে।
ইসরায়েলের ব্যাপক হামলায় গাজায় ভয়াবহ মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। এরইমধ্যে সেখানে সাড়ে আট হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে সাড়ে তিন হাজারের বেশিই শিশু। খাবার, পানি, ও ওষুধের তীব্র সংকটে আরো লাখ লাখ মানুষ মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে।
আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে ইসরায়েলকে গাজায় অভিযান চালানো বন্ধ রাখার অনুরোধ করা হলেও তাতে কর্ণপাত করছেন না দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিত নেতানিয়াহু।
গত ৭ অক্টোবর গাজা থেকে হামাসের অতর্কিত হামলায় ইসরায়েলে ১৪শয়ের বেশি মানুষ নিহত হয়। হামাস ইসরায়েল থেকে আরো ২৩০ জনকে যুদ্ধবন্দি করে নিয়ে যায়। তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত মাত্র চারজন জিম্মি মুক্তি পেয়েছেন।