চট্টগ্রাম বিভাগে প্রবল বর্ষণ আর বন্যার কারণে তিন বোর্ডের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ১০ দিন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা আগামী ১৭ আগস্টের পরিবর্তে শুরু হবে আগামী ২৭ আগস্ট।
অন্যান্য বোর্ডের পরীক্ষা যথারীতি আগামী ১৭ আগস্ট শুরু হবে বলে জানিয়েছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।
আজ শুক্রবার (১১ আগস্ট) রাতে তিনি বলেন, “প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এই তিন বোর্ডের পরীক্ষা পেছানো হয়েছে।”
১১টি শিক্ষা বোর্ডের মোট ১৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩৪২ জন শিক্ষার্থী চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নেবে। কিছু শিক্ষার্থী পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে আন্দোলন করলেও তার কোনো সুযোগ নেই বলে জোর দিয়ে জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
অবশ্য তিনি এও বলেছিলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কোনো পরিস্থিতি বিরূপ হলে স্থানীয়ভাবে সেই পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করা হবে প্রয়োজন হলে।
এর মধ্যে গত ৪ আগস্ট থেকে টানা পাঁচ দিনের বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে পর্যুদস্ত হয়ে পড়ে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান জেলা এবং রাঙামাটি জেলার কিছু এলাকা।
পরিস্থিতি এতটাই বিরূপ হয়ে পড়ে যে বিপুল সংখ্যক মানুষকে বাড়িঘর ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিতে হয়। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক বন্ধ থাকে দুই দিন। পানিতে ভেসে গিয়ে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়, নিখোঁজ হয় কয়েকজন।
এ অবস্থায় গত মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং এ বিভাগের চার জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বুধ ও বৃহস্পতিবার বন্ধ রাখা হয়।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি গত ৮ আগস্ট এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, এবার জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) প্রণীত ২০২৩ সালের পুনর্বিন্যস্ত সিলেবাসে সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বরে পরীক্ষা হলেও তথ্যপ্রযুক্তি (আইসিটি) পরীক্ষা হবে ১০০ নম্বরের পরিবর্তে ৭৫ নম্বরে।
এর মধ্যে ২৫ নম্বর থাকবে ব্যবহারিকে, বাকি ৫০ নম্বরের তত্ত্বীয় পরীক্ষা নেওয়া হবে। ৫০ নম্বরের মধ্যে ২০ নম্বর থাকবে এমসিকিউ আর ৩০ নম্বরের রচনামূলক পরীক্ষা হবে।