নগরীর ইপিজেড থানার বন্দরটিলা এলাকায় একটি ছাদের পানির ট্যাঙ্ক থেকে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার নাম মর্জিনা আক্তার (২০) বলে জানা গেছে।
আজ শনিবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
এর আগে ওই গৃহবধূর স্বামী হাসান সাত মাসের শিশুকে বাড়িওয়ালার কাছে দিয়ে থানায় স্ত্রী নিখোঁজের জিডি করতে গিয়েছিলেন।
নিহত মর্জিনা আক্তারের বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কেশবপুরে। স্বামী-সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন নগরীর বন্দরটিলার আয়শার মার গলির খলিল হুজুর ভবনের পঞ্চম তলায়।
মর্জিনার স্বামী মো. হাসান নগরীতে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন বলে জানা গেছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) বন্দর জোনের সহকারী কমিশনার মাহমুদুল হাসান জানান, সাত মাস বয়সী শিশু সন্তানকে বাড়িওয়ালার কাছে রেখে মর্জিনার স্বামী হাসান দুই দিন আগে তার স্ত্রী ঘরে আসলে তাকে দিতে বলে বের হয়ে যান। আবার শুক্রবার ইপিজেড থানায় স্ত্রী নিখোঁজের জিডি করতে গিয়েছিলেন। আজ শনিবার দুপুরে ছাদের পানির ট্যাঙ্ক থেকে দুর্গন্ধ ছড়ালে অন্যান্য ভাড়াটিয়ারা বাড়িওয়ালাকে বলেন। বাড়িওয়ালা পানির ট্যাঙ্ক খুলে মরদেহ দেখতে পেলে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
ঘটনাস্থলে মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা ইপিজেড থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) চাংকু নাথ বলেন, “পানির ট্যাঙ্ক থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে অন্তত দুই দিন আগে মর্জিনার মৃত্যু হয়েছে। মর্জিনার স্বামী হাসান পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।”