হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসন আজ মঙ্গলবার (৯ মে) ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পুকুর ভরাটের দায়ে এক ব্যক্তিকে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেছে।
উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযান পরিচালনাকারী ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহিদুল আলম জানান, বিভিন্ন সূত্রে উপজেলার ১৪নং শিকারপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডে দক্ষিণ কুয়াইশের নাজিম উদ্দিনের পুত্র শরিফ আজম নামে এক ব্যক্তির পরিবেশ আইন লংঘন করে পুকুর ভরাট করার অভিযোগ পেয়ে আজ মঙ্গলবার সেখানে অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানে রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বিএস ও আর এস রেকর্ড মতে স্হানটির শ্রেনী পুকুর যা সরেজমিন পরিদর্শন করে পুকুর পাওয়া যায়।
অভিযান পরিচালনাকারী স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানতে পারেন, পুকুরটি ভরাট করার লক্ষ্যে আনুমানিক ৩ মাস আগে পরিকল্পিতভাবে সেচ যন্ত্র দিয়ে শুকিয়ে ফেলা হয়। গত ৩/৪ দিন ধরে চলে ভরাট কার্যক্রম।
বিভিন্ন সূত্রে অভিযোগ পেয়ে আজ মঙ্গলবার এ অভিযান পরিচালনা করা হয় এবং অভিযুক্তকে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ অনুযায়ী ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। একইসাথে, আগামী ১ মাসের মধ্যে পুকুরটি খনন করে পূর্বের অবস্থায় নিয়ে আসার নির্দেশনা দেয়া হয়।
এ বিষয়টি তদারকি করার জন্য শিকারপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল খালেককে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি অভিযানে সার্বিক সহযোগিতা করেন।
ইউএনও মো. শাহিদুল আলম জানান, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পুকুর বা জলাধার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া অগ্নিকাণ্ড ও বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় পানির উৎস হিসেবে জলাধার সংরক্ষণ জরুরি। হাটহাজারীতে আইন অমান্য করে কেউ জলাশয় ভরাট করলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।