ফখরুলের মতো জঘন্য মিথ্যাবাদী বাংলাদেশে কখনো জন্মগ্রহণ করেনি

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

আজাদী অনলাইন | রবিবার , ৩০ জুলাই, ২০২৩ at ৯:৫৪ অপরাহ্ণ

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, “মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব গতকাল সংবাদ সম্মেলন করে তারা যে আগুন দিয়েছেন সেটি অস্বীকার করলেন। তার মতো জঘন্য মিথ্যাবাদী বাংলাদেশে কখনো জন্মগ্রহণ করেনি। মিথ্যা বলায় যদি কেউ চ্যাম্পিয়ন তাহলে তিনি হবেন। এরকম জঘন্য মিথ্যাচারী রাজনীতিবিদ কখনো বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করে নাই। যারা গাড়িতে আগুন দিয়েছে সেগুলো ভিডিও ফুটেজ আছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদেরকে গ্রেফতার ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

তিনি আজ রবিবার (৩০ জুলাই) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর দোস্ত বিল্ডিং চত্বরে বিএনপি’র অগ্নি সন্ত্রাস নৈরাজ্য সৃষ্টি ও সহিংসতার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পূর্ববর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, “বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল, তারা সেটি আবার প্রমাণ করেছে। গত শুক্রবারের প্রোগ্রামে গন্ডগোল কেন হলো না সেজন্য বিএনপি নেতাদের ওপর চটেছে তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। গন্ডগোল করার উদ্দেশ্যে পরদিন ঢাকা শহরের প্রবেশ মুখগুলোতে অবস্থান ধর্মঘট অর্থাৎ অবরুদ্ধ করার কর্মসূচি ঘোষণা করেন তারা। তারেক জিয়া নিজে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে নেতাদের ফোন করে নির্দেশ দিচ্ছে গাড়ি ভাঙচুর ও আগুন দেয়ার এবং পুলিশের ওপর আক্রমণ করার জন্য। সেই প্রমাণ আমাদের হাতে আছে। বিএনপি ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালের মতো আবারো পেট্টোলবোমা বাহিনীকে মাঠে নামিয়েছে, অগ্নি সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য শুরু করেছে।”

তিনি আরো বলেন, “আপনারা দেখেছেন বিএনপি নেত্রী নিপুণ রায়ের অডিও বক্তব্য ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তিনি আগুন দেওয়ার নির্দেশ দিচ্ছে। আবার বলছে, এটা একটু ভিডিও করে রাখেন, জায়গা মতো পাঠাতে হবে অর্থাৎ তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে পাঠাতে হবে।”

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, “আপনারা জানেন গত শুক্রবার ঢাকায় বিএনপি সমাবেশ করেছে, একই সাথে আমাদের যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগ যৌথভাবে বিশাল সমাবেশ করেছে। মাত্র সোয়া কিলোমিটার দূরত্বে দুইটি বিশাল সমাবেশ হয়েছে কিন্তু ঢাকা শহরে বিন্দুমাত্র কোনো গন্ডগোল হয় নাই কারণ আমাদের দলের নেতাকর্মীরা এবং প্রশাসন সতর্ক দৃষ্টি রেখেছিল।”

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, “গত শুক্রবার তাদের সমাবেশের জন্য সমস্ত সহযোগিতা করা হয়েছে। তারা যেখানে চেয়েছে সেখানেই সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছে। কিন্তু ঢাকা শহরের প্রবেশ মুখ বন্ধ করে নগরবাসীকে নগর থেকে বের হওয়া আর নগরে ডুকা বন্ধ করে দেয়ার অধিকার কাউকে সরকার দিতে পারেনা, সে কারণে সেটি সরকার অনুমতি দেয় নাই।”

তিনি বলেন, “যারা এই ধরনের ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি দিয়ে জনগণের কষ্ট ঘটানের অপপ্রয়াস চালায় সেটি যাতে করতে না পারে জনগণের পাশে থাকা সরকারি দল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব। কেউ যাতে শান্তি-শৃঙ্খলা ও স্থিতি বিনষ্ট করতে না পারে সেজন্য আমাদের দলের নেতাকর্মীরা ঢাকার প্রবেশ মুখে সতর্ক পাহারায় ছিল। আমাদের দলের নেতাকর্মীদের শান্তিপূর্ণ অবস্থানের ওপর তারা আক্রমণ চালিয়েছে, পুলিশের উপর আক্রমণ চালিয়েছে। ২০১৩-১৪ ও ১৫ সালে যেভাবে আক্রমণ চালিয়েছে ঠিক একই ভাবে তারা ঢাকা শহরে বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ, জনগণ ও বাসের উপর আক্রমণ চালিয়েছে।”

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, “বিএনপি শনিবার প্রথমার্ধে সাতটি বাস জ্বালিয়েছে, রাতের বেলা আরো গাড়িতে আগুন দিয়েছে। প্রত্যেকটি গাড়ি ব্যক্তি মালিকানাধীন। অনেক কষ্টে গাড়িগুলো কিনেছে মানুষ। এই গাড়ি জ্বালানোর মধ্য দিয়ে একটি পরিবারকে জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে, একটি পরিবারের স্বপ্নকে জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। এটি কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি হতে পারে না।”

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালামের সভাপতিত্ব ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ পালিতের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি আবুল কাশেম চিশতি, সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, উত্তরজেলা যুবলীগের সভাপতি এস এম রাশেদুল ইসলাম, ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক রেজাউল করিম, মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদিকা বাসন্তী প্রভা পালিত প্রমুখ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকক্সবাজারে হেরোইন-ইয়াবা সহ গ্রেফতার ২
পরবর্তী নিবন্ধচন্দনাইশে বিএনপির ৪১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা