উপকূলে আছড়ে পড়ছে ‘হামুন’ (লাইভ আপডেট দেখুন)

আজাদী অনলাইন | মঙ্গলবার , ২৪ অক্টোবর, ২০২৩ at ৯:১০ অপরাহ্ণ

প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ শক্তি হারিয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূলে আছড়ে পড়ছে। ঝড়টি পুরোপুরি উপকূল অতিক্রম করবে কুতুবদিয়ার কাছ দিয়ে আগামী ১০ ঘণ্টায়।

আজ মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) রাতে আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন এমন তথ্য জানান।

তিনি বলেন, “সন্ধ্যার পর ঘূর্ণিঝড়ের মূল অংশ উপকূলে উঠে আসার প্রক্রিয়া শুরু হয়। এতে শক্তি হারিয়ে ঝড়ের কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ নেমে আসে ৯০ কিলোমিটারের নিচে। আগামী ১০ ঘণ্টার মধ্যে এটি পুরোপুরি স্থলভাগে উঠে আসবে। বুধবার আরও শক্তিক্ষয় করে পরিণত হবে নিম্নচাপে। ঘূর্ণিঝড়ের ১৩ নম্বর বুলেটিনে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ পূর্ব থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে ঘূর্ণিঝড় হিসেবে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।”

ঘূর্ণিঝড় হামুন-এর লাইভ আপডেট দেখুন

তিনি জানান, এটি সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছিল।

ঘূর্ণিঝড়টির মূল অংশ উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে। এটি আরও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে কুতুবদিয়ার কাছ দিয়ে পরবর্তী ৮ থেকে ১০ ঘণ্টার মধ্যে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল।

চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৭ (সাত) নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৫ (পাঁচ) নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৭ (সাত) নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

ঘূর্ণিঝড় হামুন-এর প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। ভারী বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধধান বাঁচানোর জন্য কৃষকের পাতা ফাঁদে পড়ে হাতির মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধকক্সবাজারে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’, বিধ্বস্ত অসংখ্য ঘরবাড়ি