দুবাই থেকে আসা এক যাত্রীর মলদ্বার থেকে দুইটিসহ মোট চারটি স্বর্ণের বার এবং সিগারেট উদ্ধার করা হয়েছে। চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্মরত জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) এবং শুল্ক গোয়েন্দা টিম যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে দুবাই ফেরত যাত্রীর কাছ থেকে উপরোক্ত মালামাল উদ্ধার করে।
কাস্টমস সূত্র জানিয়েছে, ফেনীর ছাগলনাইয়ার আলীম উল্ল্যাহের পুত্র রফিকুল ইসলাম আজ মঙ্গলবার সকাল সাতটা নাগাদ বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে দুবাই থেকে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।
ইমিগ্রেশন শেষে উক্ত যাত্রী নিজ থেকে কাস্টমসে গিয়ে তার কাছে দুইটি স্বর্ণের বার থাকার ঘোষণা দেন এবং চল্লিশ হাজার টাকারও বেশি শুল্ক পরিশোধ করেন। শুল্ক পরিশোধ করে গ্রীন চ্যানেল দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় এয়ারপোর্ট এনএসআই এবং শুল্ক গোয়েন্দার কর্মকর্তারা তার গতিরোধ করেন এবং তাকে আর্চওয়ের ভিতর দিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দেন।
কিন্তু রফিকুল ইসলাম আর্চওয়ের ভিতর দিয়ে যেতে গড়িমসি করে জানান যে, তার পায়ের হাড় ভাঙ্গা তাই সেখানে একটি রড রয়েছে। এতে করে আর্চওয়ে দিয়ে পার হওয়ার সময় সিগন্যাল দেয়।
বিষয়টিতে কর্মকর্তাদের সন্দেহ আরো গাড় হলে তাকে আর্চওয়ের ভিতর দিয়ে যেতে বাধ্য করা হয়। এসময় আর্চওয়েতে সিগন্যাল দেয়া হচ্ছিল, যাতে তার কোমরের দিকে ধাতব পাত থাকার সংকেত দেয়।
এনএসআই এবং শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে একপর্যায়ে সে তার কাছে আরো দুইটি স্বর্ণের বার এবং বেশ কিছু অলংকার থাকার কথা স্বীকার করেন।
একই সাথে তার কাছে অবৈধভাবে আনা ১৫ কার্টুন সিগারেট থাকার কথাও উল্লেখ করেন। তিনি তার মলদ্বার থেকে দুইটি স্বর্ণের বার বের করে দেন।
দুইটি স্বর্ণের বার চোরাইপথে নেয়ার চেষ্টা করায় তার যেই দুইটি বারের শুল্ক পরিশোধ করা হয়েছে সেই দুইটিকেও অবৈধ ঘোষণা করে চারটি বারই জব্দ করা হয়। একই সাথে দশ ভরিরও বেশি স্বর্ণালংকারও জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত স্বর্ণসহ মালামালের দাম ৩৫ লাখ টাকারও বেশি বলেও কাস্টমস সূত্র জানিয়েছে।
রফিকুল ইসলামকে আটক করে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ পতেঙ্গা থানায় একটি মামলা রুজু করেছে। রফিকুল ইসলামকে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।