ভাবির সাথে কোনো দ্বন্দ্ব নেই জি এম কাদেরের

আজাদী অনলাইন | বুধবার , ২৩ আগস্ট, ২০২৩ at ১০:২৯ অপরাহ্ণ

জাতীয় পার্টির পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদের (ভাবি) সঙ্গে কোনো দ্বন্দ্ব নেই। ভাবির অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন কাগজপত্রে সই করাচ্ছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের।

আজ বুধবার (২৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় তিন দিনের ভারত সফর শেষে রাজধানী ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি গেটে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

জি এম কাদের বলেন, “বেগম রওশন এরশাদ আমার ভাবি। সবচেয়ে বড় ভাইয়ের স্ত্রী। আমার বড় ভাইকে সবসময় নিজের বাবার মতো মনে করতাম। সেই হিসেবে বয়সে যাই হোক, ছোটবেলা থেকেই ভাবিকে মায়ের মতো মনে করে এসেছি। ওনার সঙ্গে আমার কখনোই কোনো দ্বন্দ্ব ছিল না। এখনও নেই। ওনার অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন কাগজপত্রে সই করাচ্ছে। ওনার থেকে বক্তব্য নেওয়া হচ্ছে। আমার জানা মতে তিনি নিজের ইচ্ছায় এগুলো দিচ্ছেন না। এটা করার উদ্দেশ্য জাতীয় পার্টিকে দুর্বল করা। আমাদের বিরুদ্ধে কিছু লোকজন এসব করছেন। দেবর-ভাবির দ্বন্দ্ব যারা বলছেন, তারাই এসব বিষয় উসকে দিচ্ছেন।”

ভারত সফর নিয়ে জি এম কাদের বলেন, “আমি ভারত সরকারের আমন্ত্রণে সেখানে গিয়েছিলাম। সেখানে বেশ কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গে আমার খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। সেই আলোচনা কার কার সাথে হয়েছে, কী বিষয়ে হয়েছে, সেই বিষয়ে আমি বিস্তারিত কিছু বলতে পারব না। কেননা আলাপগুলো ওইরকমভাবেই হয়েছে, ওনারা যদি প্রকাশ করতে চান তাহলে করবেন, ওনাদের পারমিশন ছাড়া আমি কিছু বলতে পারব না কারণ আলাপগুলো ওভাবেই করা হয়েছে। তবে দ্বিপাক্ষিক বাংলাদেশ-ভারতের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। একটি জিনিস আমার কাছে ভালো লেগেছে—জাতীয় পার্টি সম্পর্কে উনাদের ধারণা ভালো, ওনারা জাতীয় পার্টিকে সম্ভাবনাময় দল মনে করেন এবং ওনারা এটাও মনে করেন, জাতীয় পার্টির সাথে ভারতের সম্পর্ক সব সময় সৌহার্দ্যপূর্ণ ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে বলে তারা আশা করেন।”

জি এম কাদের আরও বলেন, “ভারত একটি ভালো নির্বাচন দেখতে চায় বাংলাদেশে, সময়মতো যেন হয় এবং নির্বাচনের আগে ও পরে কোনো ধরনের সহিংসতা যাতে না হয় এবং সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা যেন অনিশ্চিত না হয়। কেননা এখানে তাদের অনেক ধরনের বিনিয়োগ আছে অনেক কিছু আশা করছেন তারা ভবিষ্যতে। বাংলাদেশে সার্বিকভাবে সুন্দর একটি নির্বাচনের মাধ্যমে যাতে পরবর্তী সরকার গঠিত হয়, তাহলে তাদের পক্ষে এসব কাজকর্ম করা সহজ হবে এবং তারা প্রত্যাশা করেন যাতে আমরা সবাই মিলে সেই রকম একটা পরিবেশ তৈরি করি, সুন্দর একটা নির্বাচন হয় এবং আগে পরে যাতে কোনো সহিংসতা না হয়। কোনো ধরনের অরাজকতা যাতে না হয়, দেশের স্থিতিশীলতা যাতে নষ্ট না হয়।”

আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ভূমিকা কী হবে এ প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমরা আরও কিছুদিন দেখেশুনে সিদ্ধান্ত নেব।”

পূর্ববর্তী নিবন্ধরাঙ্গুনিয়ায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামী গ্রেফতার
পরবর্তী নিবন্ধদুবাইয়ে বাঁশখালীর যুবকের ক্যান্সারে মৃত্যু