গাজায় একটি গ্রিক অর্থোডক্স গির্জায় গত রাতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১৮ জন ফিলিস্তিনি খ্রিস্টান নিহত হয়েছে।
শত শত বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি ওই গির্জায় আশ্রয় নিয়েছিল বলে জানিয়েছে দ্য অর্থোডক্স প্যাট্রিয়ার্কেট অব জেরুজালেম কর্তৃপক্ষ ও ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
গাজার হামাস পরিচালিত সরকারি গণমাধ্যম জানায়, বিমান হামলায় গির্জা থেকে মৃতের সংখ্যা সম্পর্কে কোনোকিছু জানানো হয়নি।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বলেছে, গেরিলা কমান্ড সেন্টারে বিমান হামলায় গির্জার একটি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা বলেছেন, অন্তত ৫শ’ মুসলিম এবং খ্রিস্টান ইসরায়েলের বোমা হামলা থেকে বাঁচতে গির্জাটিতে আশ্রয় নিয়েছিল।
অর্থোডস্ক গির্জা এক বিবৃতিতে বলেছে, “দ্য অর্থোডক্স প্যাট্রিয়ার্কেট অব জেরুজালেম কর্তৃপক্ষ গাজায় গির্জা চত্বরে হামলার ঘটনার কঠোর নিন্দা জানিয়েছে।”
গির্জায় হামলাস্থলের ভিডিওতে দেখা গেছে, রাতে আহত একটি বালককে ধ্বংসস্তুপ থেকে বের করে নিয়ে আসা হচ্ছে। উদ্ধারকর্মীরা জানায়, উপরের তলায় ২ জন বেঁচে গেছে। আর নিচের তলায় যারা ছিল তারা মারা গেছে, নয়ত এখনও ধ্বংসস্তুপে চাপা পড়ে আছে।
গাজার ২৩ লাখ অধিবাসীর আনুমানিক ১ হাজার জন খ্রিস্টান। তাদের বেশির ভাগই গ্রিক অর্থোডক্স। ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বলছে, তারা গির্জার কাছের একটি কমান্ড ও কন্ট্রোল সেন্টারে বিমান হামলা চালিয়েছে। ওই সেন্টার থেকে ইসরায়েলে হামলা চালানো হতো।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বলেছে, “কমান্ড সেন্টারটিতে আইডিএফ-এর হামলার ফলে ওই এলাকায় অবস্থিত গির্জাটির একটি দেয়াল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে হতাহতের ঘটনা সম্পর্কে আমরা অবগত। ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”