কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত যে মরক্কোর জালে কোনো প্রতিপক্ষ বল জড়াতে পারেনি আফ্রিকার সেই দুর্গ ভেদ করেছে ফ্রান্স।
কানাডার বিপক্ষে মরক্কো একটি গোল হজম করেছিল যেটি ছিল আত্মঘাতী।
তাদের সেই মজবুত দুর্গে খেলা শুরুর পঞ্চম মিনিটেই আঘাত হানে ফ্রান্সের থিও হার্নান্দেজ। ওই এক গোলে এগিয়ে থেকেই প্রথমার্ধ শেষ করে দিদিয়ে দেশমের দলটি।
খেলার ৭৯ মিনিটে কাতারের আল বায়িত স্টেডিয়ামে ফ্রান্সের পক্ষে দ্বিতীয় গোলটি করেন কোলো মুয়ানি। ফ্রান্স এগিয়ে যায় ২-০ গোলে।
আফ্রিকার ইতিহাসে প্রথম দল হিসেবে বিশ্বকাপের শেষ চারে খেলতে নামে মরক্কো।
খেলার পঞ্চম মিনিটে ডান দিক থেকে ঢুকে আতোয়াঁ গ্রিজমানের দিকে বল বাড়ান রাফায়েল ভারানে। তার পাস থেকে বল পেয়ে শট নেন কিলিয়ান এমবাপ্পে কিন্তু তার শট রক্ষণের দেয়ালে বাধা পায়। তবে বল ছোট ডি-বক্সের সামনে থাকা থিও এরনঁদেজের সামনে পড়ে; আর তা থেকে গোল আদায় করে নেন এই ফরাসি ডিফেন্ডার।
থিও এরনঁদেজের গোলটি বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম (৪:৩৯) গোল। এর আগে ১৯৫৮ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে মাত্র দুই মিনিটের মধ্যেই লক্ষ্যভেদ করেছিলেন ব্রাজিলের ভাভা।
গোল হজম করার কিছুক্ষণের মধ্যেই শোধ করার দারুণ সুযোগ পেয়েছিল মরক্কো কিন্তু বক্সের সামনে থেকে মরক্কান মিডফিল্ডার উনাহির বাঁকানো শট ঝাঁপিয়ে ফেরান ফরাসি গোলরক্ষক হুগো লরিস।
১৭তম মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিল ফ্রান্স। এবার লং বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হন মরক্কোর ডিফেন্ডার রোমাঁ সাইস। আর বল তার মাথার ওপর দিয়ে চলে যায় অলিভিয়ের জিরুদের কাছে। বল নিয়ে কিছুটা দৌড়ে বাঁ পায়ে জোরালো শট নেন ফরাসি স্ট্রাইকার কিন্তু অল্পের জন্য তার শট পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়।
শুরু থেকেই অস্বস্তি নিয়ে খেলতে থাকা মরক্কোর অধিনায়ক রোমাঁ সাইস ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছাড়েন। তার বদলে নামেন মিডফিল্ডার সেলিম আমাল্লাহ।
এরপর মরক্কোর খেলা কিছুটা অগোছালো হয়ে পড়ে। এই সুযোগে ফ্রান্স দু’টি সুযোগ পেয়ে যায়।
একবার কর্নার কিক থেকে জায়গামতো বল পেয়েও চলে যায় পোস্টের উপর দিয়ে। পরের মিনিটে জিরুদের শট বাঁ পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। বাকি সময় বলার মতো কোনো আক্রমণ শানাতে পারেনি কোনো দলই।