মিয়ানমারে আটক ৬ মাঝিমাল্লা দীর্ঘ ৩৭ দিন পর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি’র) প্রচেষ্টার পর স্বদেশে ফিরেছে।
ফেরত আসা জেলেরা হচ্ছেন টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের নোয়াখালী পায়ড়ার আবদু সোবহানের পুত্র আব্দুর রহমান, জাফর আহমদের পুত্র কেফায়েত উল্লাহ, নুর আহমদের পুত্র হামিদ উল্লাহ, সদর ইউনিয়নের রাজারাছড়ার হোছন আলীর পুত্র মুহাম্মদ তৈয়ুব, আবু তালেবের পুত্র মোহাম্মদ মামুন ও করাচি পাড়ার মোহাম্মদ ছফরের পুত্র আব্দুর রশিদ।
আজ বুধবার (৯ মার্চ) তাদেরকে টেকনাফ দিয়ে বিজিবি’র কাছে হস্তান্তর করা হয়।।
জানা যায়, গত ১ ফেব্রুয়ারি বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে গিয়ে ফিশিং ট্রলারের ইঞ্জিল বিকল হয়ে ভাসমান অবস্থায় মিয়ানমারের সীমানায় চলে গেলে ৬ জন বাংলাদেশী জেলেকে আটক করে সেই দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)।
টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি’র) অধিনায়ক লে. কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইখতেখার জানান, গত ১ ফেব্রুয়ারি বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে গিয়ে ফিশিং ট্রলারের ইঞ্জিল বিকল হয়ে ভাসমান অবস্থায় ৬ জন বাংলাদেশী জেলে মিয়ানমারের সীমানায় চলে যায়। সেখানে শূন্য রেখা অতিক্রম করে ভাসমান অবস্থায় পেয়ে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি) তাদের আটক করে রাখে।
বিষয়টি বিজিবি অবহিত হওয়ার পর বিজিবি-বিজিপি’র সাথে যোগাযোগ এবং মিয়ানমারের সিতওয়েতে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনের সহায়তায় দীর্ঘ ৩৭ (সাইত্রিশ) দিনের প্রচেষ্টার পর আজ বুধবার উক্ত জেলেদেরকে বাংলাদেশে ফেরত নিয়ে আসা সম্ভব হয়।
বর্তমানে তারা বিজিবি’র হেফাজতে রয়েছে। সকল প্রকার আইনী প্রক্রিয়া শেষে ফেরত আনা ৬ বাংলাদেশী জেলেকে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।