বঙ্গোপসাগরে কুতুবদিয়া চ্যানেলে কাজের বিরোধের জের ধরে এক মাঝি আরেক মাঝির হামলায় মারা যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নিহত মাঝির নাম নুর হোসেন (৫৫)। তিনি সহযোগী হুমায়ুন কবির(৩০)-এর হামলায় মারা যান।
পরে বাঁশখালী থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে আজ মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
স্থানীয় জেলে ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বিগত এক মাস আগে কুতুবদিয়া শান্তি বাজার আনিসের ডেইল এলাকার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত ছৈয়দ উল্লাহর পুত্র নুর হোসেন বাঁশখালীর চাম্বল বাংলাবাজার এলাকার মৃত সিরাজ মিয়ার পুত্র মোস্তাক আহমদ কোম্পানির বোটে মাছ ধরার কাজ নেন।
তার সহযোগী ছিল গন্ডামারা ইউনিয়নের
পূর্ব বড়ঘোনার মোস্তাক আহমদের পুত্র হুমায়ুন কবির (৩০)সহ আরো কয়েকজন।
গতকাল সোমবার রাতে বঙ্গোপসাগরে কুতুবদিয়া চ্যানেলে কাজের বিরোধের জের ধরে নুর হোসেনকে হুমায়ুন কবির আঘাত করলে তিনি বোটেই মারা যান।
সেই খবর এলাকায় পৌঁছলে মোস্তাক আহমদ কোম্পানি আজ মঙ্গলবার সকালে অপর একটি বোটের সাহায্যে নুর হোসেনের মরদেহ চাম্বলের বাংলাবাজার ঘাটে নিয়ে আসলে বাঁশখালী থানা পুলিশ সুরতহাল ও ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে ।
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল উদ্দিন বলেন, “খরব পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহের সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।”
ঘটনাস্থল ও নিহতের বাড়ি যেহেতু কক্সবাজারের কুতুবদিয়া এলাকায় সেখানে মামলা সহ পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।