ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কির স্কুল মিলনায়তনটি যেন শনিবার (১৫ এপ্রিল) রূপ নিয়েছিল ঢাকার এক খণ্ড রমনা বটমূল বা চট্টগ্রামের ডিসি হিল চত্বরে।
বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্য পহেলা বৈশাখের প্রাণের উৎসবে মেতেছিলেন শত শত বাংলাদেশী নর–নারী। বৈশাখী মেলা আর গান, নাচ আবৃত্তিতে তারা দেশের সংস্কৃতিকে তুলে ধরেছিলেন প্রবাসের বুকে। ষড়ঋতুর গানের সুরে সুরে বরণ করেছিলেন বাংলা নতুন বছরকে। অনুষ্ঠানের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘ঋতুরঙ্গ’।
‘এসো হে বৈশাখ’ সম্মেলক গানের মধ্য দিয়ে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানের পর্দা উঠে। এরপর কখনো কবিতা, কখনো গান এবং নাচে মিলনায়তন মেতে উঠে। ‘বরিষ ধরার মাঝে, মন মোর মেঘের সঙ্গী’ কিংবা ‘আজ মন চেয়েছে’ সুরের অনুরণনে যেন অবগাহন করেছেন দর্শকেরা প্রিয় দেশের চেনা বর্ষায়।
‘শরৎ তোমার অরুণাঞ্জলি’ কিংবা ‘হেমন্তে কোন বসন্তে’ নাচের মধ্য দিয়ে ঋতুভিত্তিক দেশের ছবি ভেসে উঠে। কেউ পরিবেশন করেন ‘হিমের রাতে ওই’ গানটি।
এছাড়া ‘শীতের হাওয়ায় লাগলো নাচন’ গানের সঙ্গে নাচে অংশ নেন দর্শকরা। সবশেষে বসন্তকে দুয়ারে নিয়ে হাজির হন ‘বসন্ত এসে গেছে’ গানের মধ্য দিয়ে। ‘ফাগুন হাওয়ায় হাওয়ায়’ সম্মেলক গানেও কম নাচেনি মিলনায়তন।
সর্বশেষ ‘মেলায় যাইরে’ গান উন্মাতাল করে দর্শকদের।
এ বর্ষবরণ উপলক্ষে মিলনায়তনের এক পাশে বিভিন্ন রকমারি খাবার ও পোশাকের দোকান বসেছিল। মেহেদিতে হাত রাঙানোর সুযোগও ছিল। শিশুদের জন্য ছিল বায়োস্কোপ।