বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও নগরীর পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতে ঢাক, ঢোল বাজিয়ে দুর্গা মাকে বিদায় জানাচ্ছেন ভক্তরা। বৃষ্টিতে একাকার হচ্ছে তাদের চোখের জল।
পতেঙ্গা সৈকতে প্রতিমা বিসর্জন শুরু হয় আজ মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে। বিকেল সাড়ে তিনটায় আসেন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।
ইপিজেড থানা পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুজন কুমার শীল জানান, বেলা একটা থেকে বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত পতেঙ্গা সৈকতে সাতটি প্রতিমা বিসর্জন হয়েছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে প্রতিমা মণ্ডপ থেকে আনতে একটু সময় লাগছে। ১৬ থানার তিন শতাধিক প্রতিমা এখানে বিসর্জন দেওয়ার কথা রয়েছে।
তিনি বলেন, “আশা করি দ্রুততম সময়ের মধ্যে সব প্রতিমা বিসর্জন সম্ভব হবে।”
তিনি জানান, পতেঙ্গা সৈকতে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ প্রশাসন প্রতিমা বিসর্জনে সহায়তা করছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, মেডিক্যাল, ফায়ার সার্ভিস, রেড ক্রিসেন্টের টিমও রয়েছে।
এ বছর নগরীর জেএমসেন হলসহ ১৬ থানায় ব্যক্তিগত/ঘট পূজাসহ ২৯৩টি পূজামণ্ডপ এবং চট্টগ্রাম জেলার ১৫ উপজেলায় ২ হাজার ১৭৫ মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গা ধরাধামে এসেছিলেন ঘোড়ায় চড়ে, ফিরছেন একই বাহনে।
মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি লায়ন আশীষ কুমার ভট্টাচার্য বলেন, “ঘূর্ণিঝড় হামুন-এর কারণে ৭ নম্বর সতর্কতা সংকেত চলছে। বৃষ্টিও পড়ছে। তাই সুবিধাজনক স্থানে প্রতিমা বিসর্জনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”
প্রতি বছরের মতো এবারও পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত ছাড়াও অভয়মিত্র ঘাট, বারুণী স্নান ঘাট, কর্ণফুলী নদীর বিভিন্ন ঘাট, কাট্টলী সৈকত, কালুরঘাটসহ বিভিন্ন এলাকার পুকুর, দীঘিতে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হচ্ছে উৎসবমুখর পরিবেশে শান্তিপূর্ণভাবে।