রাজধানী ঢাকার ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ডের বিপরীতে সিদ্দিক বাজার এলাকায় একটি ভবনে বিস্ফোরণে মারা গেছে দুই নারীসহ ১৫ জন।
আহত শতাধিক লোককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিকেল ৫টার আগে বিস্ফোরণের এই ঘটনা ঘটে। পরে আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আজ মঙ্গলবার বিকাল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে ওই ভবনে বিস্ফোরণের পর ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট সেখানে উদ্ধার কাজ শুরু করে।
ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক দিন মনি শর্মা বলেন, “নর্থ সাউথ রোডের ১৮০/১ হোল্ডিংয়ে একটা ভবনে বিস্ফোরণ ঘটেছে। পরে আপনাদের বিস্তারিত জানাতে পারব।”
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক সন্ধ্যায় বিফ্রিংয়ে সাংবাদিকদের জানান, বিস্ফোরণের ঘটনায় আটজনকে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছিল। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও তিনজন মারা যান।
এর আগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, আটজনের মৃতদেহ নেওয়া হয়েছে। আহত হয়ে যারা হাসপাতালে গেছেন তাদের সংখ্যা শতাধিক।
সাত তলা যে ভবনে বিস্ফোরণ ঘটেছে, তার নিচের দুটো তলা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে স্যানিটারি সামগ্রী আর গৃহস্থালী সামগ্রীর বেশ কয়েকটি দোকান ছিল। বিস্ফোরণে দেয়াল ভেঙে যাওয়ার পাশাপাশি ভেতরের জিনিসপত্র ছিটকে বাইরে বেরিয়ে এসেছে। ভবনের উল্টো দিকে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিস্ফোরণের ধাক্কায়।
পাশের সাকি প্লাজা নামের পাঁচ তলা ভবনের উপরে চারটি ফ্লোরে ব্র্যাক ব্যাংকের গুলিস্থান শাখা এবং ব্র্যাক ব্যাংকের এসএমই সার্ভিস সেন্টার রয়েছে। বিস্ফোরণের ধাক্কায় কাচ ভেঙে ব্যাংকের অফিস কক্ষগুলোর পর্দা ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে।
ব্র্যাক ব্যাংকের জনসংযোগ বিভাগের কর্মকর্তা আব্দুর রহিম বলেছেন, “সিদ্দিক বাজার আমাদের যে শাখাটি রয়েছে, তার পাশের ভবনে বিস্ফোরণ ঘটেছে। সেই ধাক্কায় ব্যাংক ভবনের কাচ সম্পূর্ণ গুড়ো গুড়ো হয়ে নিচে পড়েছে। উড়ে আসা কাচের টুকরার আঘাতে কয়েকজন ব্যাংক কর্মী আহত হয়েছেন।”
সীতাকুণ্ডে অক্সিজেন কারখানা এবং ঢাকার মিরপুরে রোডে ভবনে বিস্ফোরণের পর এক সপ্তাহের মধ্যে তৃতীয় বিস্ফোরণে প্রাণহানি ঘটল।
সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণের কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।