গীতা বিশ্বাস, বয়স ৬০ বছর ছুঁইছুঁই। কিন্তু কঙ্কালসার শরীর দেখে মনে হবে বয়স আরো অনেক বেশি। স্বামী উজ্জ্বল বিশ্বাস প্রতিবন্ধী এবং মানসিক ভারসাম্যহীন। আত্মীয়দের অত্যাচারে ঘরছাড়া নিঃসন্তান এই দম্পতির খবর সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে গণমাধ্যমে।
এ সংবাদ দৃষ্টিগোচর হতেই সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) গীতা বিশ্বাসের বাড়িতে হাজির হয়েছে জেলা প্রশাসন। এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত তাঁর হাতে তুলে দেন চাল, ডাল, তেল, আলু লবণসহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গীতা বিশ্বাসকে ২০ কেজি চাল, ১০ কেজি ডাল, ১০ লিটার তেল, ৪ কেজি আলু, ২ কেজি লবণ, ২ কেজি চিনি, সাবান, শ্যাম্পু সহ প্রায় ২ মাসের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য এবং নগদ ৫ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়েছে।
সেইসঙ্গে স্থানীয় ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম বাহাদুরও ১৫ দিন পরপর চাল-ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি গীতা বিশ্বাসের কাছে পাঠানোর আশ্বাস দিয়েছেন।
জানা যায়, গীতা বিশ্বাস ও স্বামী উজ্জ্বল বিশ্বাসের বাড়ি মীরসরাই উপজেলার শ্রীপুর গ্রামে। কিন্তু আত্মীয়দের অত্যাচারে তাঁরা বাড়ি ছেড়েছেন ১০ বছর আগে। এখন থাকেন চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের চৌমুহনী এলাকার মিয়া বাড়ির নীচতলার একটি ঘরে। তাদের নিজ বাড়ির জায়গা জমি সংক্রান্ত বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত বলেন, আমি জেলা প্রশাসকের নির্দেশে এখানে এসেছি। পত্রিকার খবরটি আমাদের চোখ এড়িয়ে গেলেও চট্টগ্রামের অভিভাবক আমাদের জেলা প্রশাসক ঠিকই খেয়াল করেছেন। তিনি ইতোমধ্যে মীরসরাইয়ের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) এই ভদ্র মহিলার বিষয়টি মানবিকভাবে দেখার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, তাকে বয়স্ক ভাতার কার্ড বা ওএমএস এর কার্ড করে দেওয়া যায় কিনা সেটি ইউএনও স্যার দেখবেন। এরকম অসহায় ও গরীব মানুষের পাশে জেলা প্রশাসন সবসময় ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।