ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তারা বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বরখাস্ত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) এমরান আহম্মদ ভূঁইয়াকে গ্রেফতারের কোনো আশঙ্কা নেই জানানো হলে বাসায় ফিরে গেছেন তিনি।
এর আগে তিনি আশ্রয় চেয়ে সপরিবারে ঢাকার মার্কিন দূতাবাসে হাজির হয়েছিলেন।
তাকে পুলিশি নিরাপত্তায় রাজধানীর লালমাটিয়ার বাসায় ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।
বাসায় ফিরে শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া গণমাধ্যমকে বলেন, “সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত দূতাবাসে অপেক্ষা করেছি। দূতাবাসের কর্মকর্তারা আশ্বস্ত করেছেন, আমাকে গ্রেফতারের আশঙ্কা নেই বলে সরকারের পক্ষ থেকে দূতাবাসকে জানানো হয়েছে। পরে পুলিশ এসকর্ট দিয়ে আমাকে বাসায় পৌঁছে দিয়েছে।”
এর আগে বৃহস্পতিবার আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এমরান আহম্মদ ভূঁইয়ার নিয়োগাদেশ ‘জনস্বার্থে বাতিল’ করে তাকে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
শুক্রবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক তার নির্বাচনী এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এমরান আহম্মদকে বরখাস্ত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর পরই আশ্রয়ের জন্য মার্কিন দূতাবাসে যাওয়া এমরান আহম্মদ ক্ষুদে বার্তায় গণমাধ্যমকে জানান, তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তিনি মার্কিন দূতাবাসে আজ পুরো পরিবারসহ আশ্রয়ের জন্য বসে ছিলেন। ফেসবুক মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপে গত ৪-৫ দিন ধরে অনবরত তাকে হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র ব্রায়ান শিলার এই মুহূর্তে এমরানের বিষয়ে জানানোর মতো কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই বলে জানান।
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মামলার বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে খোলা চিঠি পাঠান ১০৪ জন নোবেল বিজয়ীসহ বিশ্বের ১৭৫ ব্যক্তিত্ব। ওই খোলা চিঠির বিপরীতে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় থেকে প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দেওয়ার কথা উল্লেখ করে ৪ সেপ্টেম্বর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ সাংবাদিকদের বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে কর্মরত সবাইকে এতে সই করার জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ওই বিবৃতিতে সই করবেন না।
যদিও অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় থেকে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে পাল্টা বিবৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে– এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া এমন কথা বললেও ওই কার্যালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, ড. ইউনূসের বিপক্ষে বিবৃতিতে স্বাক্ষর করতে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় থেকে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।