চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শাটল ট্রেনে শিক্ষার্থী আহত হওয়ার ঘটনায় প্রায় ৬০ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর শাটল ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হচ্ছে বলে জানিয়েছে রেলওয়ের রানিং স্টাফদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী সমিতি’।
সংগঠনটির প্রচার সম্পাদক শফিকুল আলম বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। আমাদের ৬ দফা দাবি ছিল। তা পূরণের আশ্বাস দেওয়ায় দুপুর থেকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে।”
একই তথ্য জানিয়েছেন ষোলশহর স্টেশন মাস্টার জয়নাল আবেদিন। তিনি বলেন, “সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গামী ট্রেন না চললেও দুপুর ২টা ৫০ মিনিটের ট্রেন যথারীতি চলাচল করবে।”
এর আগে রেলওয়ে রানিং স্টাফদের সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক হয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে প্রক্টর নুরুল আজিম শিকদার ও প্রধান প্রকৌশলী তাপস কুমার দাশ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
সংগঠনটির পক্ষ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে ৬ দাফা দাবি দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে চবি’র প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার বলেন, “আমরা ট্রেন চলাচলের বিষয়ে রেলওয়ে রানিং স্টাফদের সংগঠনের সঙ্গে কথা বলেছি। দুপুর থেকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে। তাদের কিছু দাবি দাওয়া রয়েছে। তা পূরণের আশ্বাস দিয়েছি।”
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গামী শাটল ট্রেনের ছাদে বসে ক্যাম্পাসে ফেরার পথে চৌধুরী হাট এলাকায় ভেঙে পড়া গাছের সঙ্গে ধাক্কায় ১৬ শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন। এ ঘটনার জেরে ওইদিন শাটল ট্রেন বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনে পৌঁছালে লোকোমাস্টারদের লাঞ্ছিত করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
পরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের বাসভবনসহ বিভিন্ন এলাকার স্থাপনায় ভাঙচুর চালায়। ভাঙচুর করা হয় বিশ্ববিদ্যালয় পরিবহন পুলের প্রায় অর্ধশতাধিক ছোট-বড় গাড়ি।