মিথ্যা ঘোষণায় আনা আরও ২ কন্টেইনার মদ ধরা পড়েছে চট্টগ্রাম বন্দরে। এই মদ এসেছে চীন থেকে।
আজ সোমবার(২৫ জুলাই) চট্টগ্রাম বন্দরের ইয়ার্ডে রাখা ৪০ ফুট দৈর্ঘ্যের কন্টেইনার দু’টি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনাক্ত করার পর কায়িক পরীক্ষা শুরু করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
এ নিয়ে দুই দিনে চট্টগ্রাম বন্দরে থাকা তিনটি কন্টেইনারে মিথ্যা ঘোষণায় আনা বিদেশি মদের সন্ধান পাওয়া গেল।
এর আগে দু’টি ভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে ভুয়া আইপি দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া অন্য দু’টি কন্টেইনার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে আটক করে সেখানেও বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ পাওয়া যায়।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপ-কমিশনার মো. সাইফুল হক বলেন, “মোংলা ইপিজেডের ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রিজ বাংলাদেশ লিমিটেডের নামে সুতা এবং নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডের ডং জিন ইন্ডাস্ট্রিয়াল কোম্পানি বাংলাদেশের নামে পলিপ্রোপিলিন ঘোষণায় পৃথক দুই কন্টেইনার পণ্য আনা হয়। কাস্টমসের এআইআর (অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ) এবং পোর্ট কন্ট্রোল ইউনিট শাখা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কন্টেইনার দু’টি আটক করে। কায়িক পরীক্ষা শুরুর পর সেখানে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদের বোতল পাওয়া গেছে। কন্টেইনার দু’টিতে মদের বোতলের সংখ্যা গণনা করা হচ্ছে।”
কাস্টমস কর্মকর্তা সাইফুল বলেন, “কন্টেইনার দু’টি ছাড়ের জন্য কোনো সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান বিল অব এন্ট্রিও দাখিল করেনি। কায়িক পরীক্ষার পাশাপাশি মিথ্যা ঘোষণায় কীভাবে এসব বিদেশি মদ এলো, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
প্রসঙ্গত, গতকাল রবিবার কাস্টমসের একটি দল নীলফামারী জেলার উত্তরা ইপিজেডের ডং জিন ইন্ডাস্ট্রিয়াল কোম্পানির নামে আইপি জাল করে আনা একটি কন্টেইনার আটক করে কায়িক পরীক্ষা শেষে ১৫ হাজার ২০৪ লিটার বিভিন্ন ব্রান্ডের বিদেশি মদ পায়।
কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, কোম্পানির নাম ব্যবহার করে ভুয়া আইপি দিয়ে একটি চক্র কন্টেইনারটি বন্দর থেকে বের করার চক্রান্তে ছিল।
এর আগে গত শুক্রবার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে যাওয়া দুটি কন্টেইনার আটকের পর সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ পাওয়া যায়।
র্যাবের সহযোগিতায় চট্টগ্রাম কাস্টমস এবং শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের চালানো অভিযানে দু’টি প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে ভুয়া আইপি ব্যবহার করে সেই দুই কন্টেইনার পণ্য আমদানি এবং বন্দর থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।